২৩ নভেম্বর ২০২২, ২২:৩৮

বিদ্যালয় ভবনে আগুন, আহত ৩০

দোতল ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হচ্ছে  © টিডিসি ফটো

ভোলার চরফ্যাশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে বের হওয়ার সময় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিশু শিক্ষার্থী উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বুধবার বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ করেই সহকারী শিক্ষকদের কক্ষে আগুন লেগে যায়। আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অপেক্ষমাণ অভিভাবকরা চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পরে বিদ্যালয়ে দোতলার গ্রিল ভেঙে শিক্ষার্থীদের বের করে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে বের হতে গিয়ে অনন্ত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হন।

আহতদের মধ্যে নাপিশা, মুনতাহা, প্রমুক্তা সরকার নামে তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

মাসিয়া নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ শুনতে পাই স্কুলভবনে আগুন লেগেছে। এমন খবর শুনে ক্লাস থেকে বের হতে গেলে শিক্ষকরা বাধা দেন এবং কিছু হয়নি বলে ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে রাখেন। কিছুক্ষণ পর চারদিক ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়লে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসে দরজা খুলে তাদের বাইরে নিয়ে আসেন। 

তাছলিমা বেগম নামে অভিভাবক জানান,  বিদ্যালয় ভবনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন খুবই জরাজীর্ণ। ক্লাস চলাকালীন ভবনে গেট বন্ধ থাকায় আগুনের পরপরই সব শিক্ষার্থী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।শিক্ষার্থীরা বের হতে চাইলেও তাদের বের হতে দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর স্থানীয়রা দোতলার গ্রিল ভেঙে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির অব্যবস্থাপনার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের দাবি, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগা মাত্রই তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়নি। 

চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জরাজীর্ণ বিদ্যুতের লাইনের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটেছে। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান। তিনি বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে বরাদ্দ হয়। ওই বরাদ্দ থেকে বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা দরকার ছিল। কিন্তু কেন বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।