এমপিও বাতিল হতে পারে তিন শিক্ষকের
উচ্চমাধ্যমিকের (এইচএসসি) বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক’প্রশ্ন রাখার সঙ্গে সম্পৃক্ত বেসরকারি কলেজের তিন শিক্ষকের এমপিও বাতিল হতে পারে। একই সঙ্গে সরকারি কলেজের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা ।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন ও সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান।
আরও পড়ুন: প্রায় ২৩শ’ ক্যাডার পদে নিয়োগে ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ মাসেই
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) নাম গোপন প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক’প্রশ্ন করার ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও বাতিলসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লঘু ও গুরু যেকোনো শাস্তি হতে পারে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো আহসান হাবীব বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর প্রশ্নপত্রে ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক’প্রশ্ন রাখার ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক এ কে এম রব্বানী। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম ও উপ-কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাশ।
উল্লেখ্য, ৬ নভেম্বর সারা দেশে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বোর্ডের ‘কাসালাং’ সেটের নাটক সিরাজউদ্দৌলা অংশের ১১ নং প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বিষয়টি উঠে আসে। ৮ নভেম্বর এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।