বাংলাদেশের চেয়ে মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গু আরও বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশের চেয়ে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। রাজধানীর একটি হোটেলে রবিবার সকালে ডেঙ্গু চিকিৎসা সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা (গাইডলাইন) প্রকাশের অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় আমরা ভালো আছি। আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হাসপাতালও পরিষ্কার রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রথমে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পেয়েছিলাম। সবাই মিলে সুন্দরভাবে মোকাবিলা করেছি। তখনো অনেক সমালোচনা হয়েছে। তখনো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমালোচনা ছিল না। এর পর কোভিড এলো, তখন একটি ট্রিটমেন্ট প্রটোকলের মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এটি ভালো ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: সুইমিংপুলে গোসলে নেমে প্রাণ গেল ঢাবি ছাত্রের
জাহিদ মালেক জানান, ‘আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ছিল না, ল্যাব ছিল মাত্র একটি। বিনামূল্যে আমরা রেমডিসিভির দিয়েছি। অর্থাৎ যখন যে ব্যবস্থা বিশ্বে প্রয়োগ হয়েছে, আমরা সেটিও করেছি এবং সর্বোপরি সফল হয়েছি।’
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে তিনি আরও বলেন, যারা কাজ করছেন, তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে দেরিতে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি হচ্ছে। তবে সময়ের প্রয়োজনে আগের গাইডলাইনটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। নতুন গাইডলাইনে আশা করি ডেঙ্গু কমে আসবে। শীতও চলে আসছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মোহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, এই মুহূর্তে সিটি, পৌরসভায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি। এ জন্য আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। গ্রাম থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের বাসায় সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছাতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির উপস্থিত ছিলেন।