শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছেন, যারা জাতীয় ৪ নেতাকে জেলে হত্যা করেছে, ঠিক তারাই ৭ ই নভেম্বরের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। একটা ‘কু’ এর নাম করে এসব মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়।
আজ সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘৭ নভেম্বর; মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে’ সাম্প্রদায়িক উসকানি ছিল না
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু একটা ধ্বংস স্তূপ থেকে বাংলাদেশকে ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করেন তার দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে। তার রেখে যাওয়া আদর্শকে ফলো করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগাচ্ছেন বলে তার অনেক সিদ্ধান্ত নিতে তেমন চিন্তা করা লাগে না এবং বাংলাদেশের চেহারা আজ পাল্টে গেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছেন যারা, জাতীয় ৪ নেতাকে জেলে যারা হত্যা করেছে, ৭ ই নভেম্বরের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে ঠিক তারাই। একটা ‘কু’ এর নাম করে এসব মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়। তাদের কবরটা কোথায় তাও জানে না এসব শহীদদের স্বজনরা। কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের যারা হত্যা করে, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে রক্তের হলি খেলায় মেতেছিল তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, বাঙালীর প্রাণের দাবি, মুক্তিযোদ্ধাদের মনের দাবি ছিল যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করা। এ কাজটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে দেখিয়েছেন। মন্ত্রী মনে করেন মুক্তিযোদ্ধাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচারও বাংলার মাটিতে হবে। তিনি আরও বলেন যখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে যান তখনই তার উপর হামলা হয়।
প্রতিবাদ সভায় জিয়াকে খুনি আখ্যা দেওয়া হয় এবং খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করা হয়। প্রতিবাদ সভায় আরও বলা হয় আগামী কাল সকালে চন্দ্রিমা উদ্যানে খুনি জিয়ার ভুয়া কবর অপসারণ এবং তাদের ৭ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করা হবে।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ: আমিনুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান নূর, মেজর জেনারেল (অব:) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষক আনোয়ার কবির।