টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পেলো ২৩০ শিশু-কিশোর
একটানা ৪০ দিন ফজরের নামাজ জামাতে পড়ায় সাইকেল উপহার পেয়েছে ২৩০ শিশু-কিশোর। রাজধানী মিরপুর ডিওএইচএস সেন্ট্রাল মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ উপহার দেন। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একই রকমের আয়োজনে সাইকেল উপহার পেয়েছিলো ৯৪ জন। দ্বিতীয়বার এসে অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। প্রায় তিন শত কিশোর নিয়মিত নামাজ আদায় করতে থাকে। তাদের মধ্যে টানা ৪০দিন নামাজ আদায় করে উপহার জিতে নিলেন ২৩০ কিশোর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যেই উপহারের সাইকেল সাজানো মসজিদের সামনের একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে নীল রঙের গেঞ্জি পরে ২৩০ বিজয়ী কিশোরের হাতে উপহার তুলে দিয়েছে ডিওএইচএস সেন্ট্রাল মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বাচ্চাদেরকে নামাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে মিরপুর ডিওএইচএস সেন্ট্রাল মসজিদ মসজিদ কমিটি। নিয়মিত ৪০ দিন ফজরের নামাজ পড়লেই বাচ্চারা পাবে নতুন ব্র্যান্ডের এ সাইকেল।
নিয়মিত ৪০ দিন ফজরের নামাজ আদায়ের এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ আহ্বান করার পর তিন শতাধিক শিশু ৪০ দিনের এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণে রেজিস্ট্রেশন করে।
মসজিদ কমিটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এখানে উপহার সেই বাচ্চারাই পেয়েছে যারা ৪০ দিনের মধ্যে ১ দিনও নামাজ বাদ দেয়নি। তাদের নিয়ম ছিলো ৪০ দিনের মধ্যে যদি ১ দিনও বাদ পড়ে যায় তাহলে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। নামাজ শেষ হলে তাদের হাজিরার ব্যবস্থা ছিলো। আর হাজিরা শেষে সবাইকে বিভিন্ন রকমের চকলেট দেওয়া হয়েছিলো।
এ বিষয়ে মিরপুর ডিওএইচএস সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন বলেন, এই কাজের জন্য অভিভাবকদের অনেক অবদান। মায়েরা কষ্ট করে বাচ্চাদেরকে প্রস্তুত করে মসজিদে পাঠায়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারের (অব.) খোরশেদ আলম জানান, সাড়ে ৩ শ’রও বেশি শিশু-কিশোর রেজিস্ট্রেশন করলেও সফলভাবে টানা ৪০ দিন জামাতে অংশ নিতে পেরেছে ২৩০ জন। মসজিদে আসার এ চ্যালেঞ্জে জয়ী শিশুরা ব্যক্তিজীবনেও নিয়মানুবর্তী হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।