৩০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪৮

এমপিও নিয়ে মাউশি মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে  © ফাইল ছবি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে আদালত অবমাননার নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আবুবকর সিদ্দিক রাজন। উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করা, আদালত অবমাননার মামলার নির্দেশ না মানা ও অসৎ উদ্দেশ্যে রায়ের অপব্যাখ্যা করায় এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে তিন দিনের মধ্যে রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে মহাপরিচালককে।

অন্যথায় আদালতকে অবজ্ঞা করার কারণে মামলা দায়ের হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অবমাননার মুলতবি মামলাটি চালুর কথা বলা হয়েছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) এ নোটিশ পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, মহাপরিচালকের গত ২ অক্টোবরের চিঠিতে আদালতের নির্দেশনা না মেনে ইচ্ছাকৃতভাবে রায় অমান্য করে সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব, মর্যাদা ও মহিমাকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। বিবাদীর আচরণ আদালত অবমাননার জন্য চরমভাবে দায়ী।  আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করতে হবে, যা শাস্তিযোগ্য।

আদালতের রায় উল্লেখ করে বলা হয়, আবেদনকারীরা এখনও এমপিও পাচ্ছেন না। তাই বিবাদীদের ২০০৮ সালের ১২ নভেম্বর থেকে এমপিও ছাড়ের নির্দেশ দিচ্ছি। কারণ আইন অনুসারে তাদের প্রাপ্য। অথচ  গত ২ অক্টোবরের অবমাননাকর চিঠিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে রায়কে ভিন্ন পথে পরিচালনা করতে অপব্যাখ্যা করেছেন, ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’

আরো পড়ুন: নভেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আশা এনটিআরসিএ’র

কিন্তু আদালত ২০১৭ সালের ৩১ মে’র রায় ও আদেশে এমপিও ঠিক করার ক্ষমতা দেননি কর্তৃপক্ষকে। বরং আদালত আপনাকে ২০০৮ সালের ১২ নভেম্বর থেকে রাজশাহীর দুর্গাপুরের আলীপুর মডেল কলেজের এমপিও ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও বলা হয়, মহাপরিচালক চিঠিতে বলেছেন, শিক্ষকদের এমপিও ছাড় হলে হাজার হাজার মামলা হবে। এই বক্তব্যকেও আদালত অবমাননা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী। যখন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, তখন সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টকে সাহায্য করতে বাধ্য। এ রায়ের না মানা চরম অবমাননাকর।

আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, মহাপরিচালক রায়ের অপব্যাখ্যা করেছেন। উচ্চ আদালত রায়ে এমপিও ছাড় করতে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। রায়ের সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরকে দুই দফা চিঠি দিয়েছে। আইন উপদেষ্টাও রায় বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছেন। এমপিও বৈঠকেও বকেয়া প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু মহাপরিচালক নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন, যা আইন পরিপন্থী।