উপকূলের মানুষগুলোর পাশে আসলেই কেউ নেই

উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং
উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং  © সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ উপকূল স্পর্শ করেছে। ফলে তাণ্ডব শুরু হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে। এটি মঙ্গলবার সকালের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ এলাকায় পৌঁছে স্থলভাগে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর ক্রমশ শক্তি হারাবে ঝড়টি।

সিত্রাংয়ের তাণ্ডব শুরুর পর সোমবার রাতে উপকূল নিয়ে অনেকটা আশঙ্কা প্রকাশ করে ব্র্যাকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আসিফ সালেহ নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, গত কয়েক ঘণ্টায় দক্ষিণে সবার সঙ্গে কথা বলে যা মনে হচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের পুরোটাই যাবে আমাদের দেশের ওপর দিয়ে। এবং এটার ব্যাপকতা হবে বেশ।

 

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে মৃত্যু বেড়ে ১০

তিনি আরও লিখেন, বেশ কয়েক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়তে পারে। গত শুক্র-শনিবারেই ছিলাম দাকোপসহ উপকূল এলাকার বেশ কয়েক জায়গাতে। মনটা পড়ে আছে ওই মুখগুলোর পাশে। সারা জীবন প্রকৃতি আর অমানুষদের সাথে যুদ্ধ করা এই মানুষগুলোর পাশে আসলেই কেউ নাই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের পুরো অংশ রাত ১২টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করেছে।

তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দ্রুতগতির ঝড়। এ রকম সাধারণত দেখা যায় না। খুব দ্রুতগতিতে এটি উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে। রাত ৯টার দিকে ঝড়ের কেন্দ্র ভোলার পাশ দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে। কেন্দ্রটি স্থলভাগে উঠে যাওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি (ঝড়ের পুরো ব্যাস) বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে।’

ঝড়টির শক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঝড়ের কয়েকটি মাত্রা থাকে। এটি ভারী কোনো ঘূর্ণিঝড় নয়, আবার মাঝারিও নয়। একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। এটিকে একটি সাধারণ ঝড় বলা যায়। সাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে এটি স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় আকারে আঘাত করেছে।’


সর্বশেষ সংবাদ