জুনিয়র স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার বেতপট্টি এলাকা থেকে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত কলেজছাত্রীর নাম মেরিনা আক্তার সিমু। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার চককৃষপুর পানানগর এলাকার মৃত মোজ্জামেল হকের মেয়ে এবং নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
এদিকে সিমুর লাশ উদ্ধারের পর তুহিন নামের এক তরুণ নিজেকে ওই নারীর স্বামী বলে দাবি করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তুহিনের দাবি বিয়ের পর এক মাস না হতেই সিমু তাকে ডিভোর্স দেয়।
তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোর্টের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর সিমু তাকে তালাক দেন। যার কাগজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) পেয়েছেন তিনি। আজ শনিবার দুপুরে সিমু ফোন করলে তিনি ওই বাড়িতে আসেন এবং তাকে দেখে দরজা লাগিয়ে আত্মহত্যার উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি তিনি বুঝতে পেরে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে সিমুকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে সিমুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মেরিনার স্বামী তুহিনকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, ওই মেয়ের পূর্বে আরেকটি বিয়ে ছিল। তুহিন ছিল দ্বিতীয় স্বামী। তাকেও তালাক দিয়েছে। তাদের বিয়ে পরিবারের সবাই জানত। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে বলেও জানান তিনি।