২২ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪০

খুলনায় বিএনপির সমাবেশ শুরু, বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের ঢল 

খুলনায় বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল   © সংগৃহীত

গণপরিবহন বন্ধ, চলছে না লঞ্চও। বাধা উপেক্ষা করেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অনেকেই গতকাল রাত থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান করছেন। আবার অনেকেই শনিবার সকাল থেকে বালুভর্তি ট্রলারে, নৌকায়, সিএনজি অটোরিকশায়, মোটরসাইকেলে ও হেঁটে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন।

এদিকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের প্রাথমিক কর্মসূচি। 

প্রাাথমিক কর্মসূচির আয়োজনে বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন স্থানীয় নেতারা। বেলা ২টায় শুরু হবে মূল আয়োজন। তখন বক্তব্য দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

খুলনায় বিএনপির এই সমাবেশ ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসনও। সমাবেশ ঘিরে গতকাল থেকে এক রকমের অবরুদ্ধ দশায় রয়েছে খুলনা। প্রথমে বাস বন্ধ হয়েছে, তারপর হঠাৎ বন্ধ হয়েছে লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল। ফলে খুলনায় আসতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিকল্প চিন্তা করতে হয়, নিতে হয় নানা কৌশল। বালুভর্তি ট্রলার, ইজিবাইক, নৌকা, সিএনজি, মোটরসাইকেল, হেঁটেসহ বিভিন্নভাবে খুলনা শহরে আসছেন নেতা-কর্মীরা। 

কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও মেহেরপুর থেকে নেতাকর্মীরা ট্রেনে খুলনায় আসেন। আর নড়াইল, সাতক্ষীরা, কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা এলাকার নেতা-কর্মীরা ট্রলার, ইজিবাইকসহ নানা কৌশলে খুলনায় প্রবেশ করেন। 

নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ব্যাহত করতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট যে উদ্দেশ্যে ডাকা হয়েছে, লঞ্চ ধর্মঘটও সেই উদ্দেশ্যে ডাকা হয়েছে। এটা একটা পরিষ্কার চক্রান্ত। কোনো বাধাই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ রুদ্ধ করতে পারবে না।’

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ দল বেঁধে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। মঞ্চ থেকে মাইকে বাজানো হচ্ছে দেশাত্মবোধক গান। কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে দেওয়া হচ্ছে নানা স্লোগান। দলে দলে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন। হাতে রয়েছে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার।