১৪ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৪২

ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৬

ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সরকার ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদলের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ এক উপ-পরিদর্শকসহ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের ৬ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর)  দুপুর সাড়ে ১২টার দিয়ে হাতীবান্ধা তেল পাম্প এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির দলীয় অফিসে আগামী ২৯ অক্টোবর রংপুরের মহাসমাবেশ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। পরে ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা ছাত্রলীগের বাধার মুখে পিছু হটেন। পরে পেছন থেকে ছাত্রলীগ ধাওয়া করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পিছু হটে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কে অবস্থান করেন। সেখানেও বাধার মুখে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনেকটা বাধ্য হয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো চিত্র পাল্টে যায়। যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঘুড়ে দাঁড়ায়। ফলে ছাত্রলীগের সাথে ফের সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া খেয়ে পিছু হটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।  

হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহান বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা হলো। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম বলেন, দলীয় প্রোগাম শেষ করে বের হওয়া মাত্রই ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ বাধা দিলেও তারা পুলিশের কথা না শুনে ঢিল ছুড়ে। এতে ছাত্রদলের দুজন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তিনজন আহত হন।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গুলফামুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম আহত হন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।