চাকরির সুবাধে পরিচয়, প্রেমের টানে বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ার সিতি
বাংলাদেশি তরুণ মামুন হোসেনের প্রেমে পড়েন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী সিতি রাহাইউ। সেই টানেই ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশর লক্ষ্মীপুরে এসেছেন এই তরুণী। তারা দুজনই মালয়েশিয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এর মাধ্যমেই তাদের মাঝে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় আদালতে।
শনিবার বিকেলে মালয়েশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে তারা দু’জনই এসে নামেন রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। অতঃপর মামুনদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামে যান তারা।
আরও পড়ুন: পর্নো ভিডিও সরবরাহের অভিযোগে ৬ তরুণ গ্রেপ্তার, ৩৭টি পেন ড্রাইভ জব্দ
ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ের বাসিন্দা সিতি রাহাইউ। মালয়েশিয়ার রাজধানীতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। মামুন হোসেন ও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
এব্যাপারে মামুন বলেন, ২০১৭ সাল থেকে তাদের পরিচয় ও প্রেম করার পর বিয়ের জন্য মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমান সিতি রাহাইউ। এক মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন তারা। ছুটি শেষে চলে যেতে হবে আবার মালয়েশিয়া। সিতি রাহাইউও বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।
সিতি বলেন, মামুনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিন লাখ টাকায় দেনমোহরে মামুনের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ।
মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ বলেন, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে সিতি। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। স্বজন ও গ্রামের মানুষ ভিড় করছে পুত্রবধূকে দেখার জন্য।