রাজনৈতিক কার্যালয় নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুঝার উপায় নেই
গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে যত্রতত্র ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। বাদ যায়নি বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোণাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত কোনাবাড়ি ডিগ্রি কলেজ ও আকম মোজাম্মেল হক স্কুল ক্যাম্পাসের দৃশ্য দেখে বুঝার উপায় নেই এটি কি আওয়ামী লীগ নেতাদের কার্যালয় নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, আগামী ১৫ অক্টোবর গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ওই সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওইসব প্রার্থী নিজেদের ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের নানা রং ও ডিজাইনের ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে কলেজ ও আশপাশের এলাকা ডেকে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা না থাকলে জাতি পিছিয়ে পড়বে’
সরেজমিনে দেখা যায়, কোনাবাড়ি ডিগ্রি কলেজ ও দেওয়ালিয়াবাড়ি আ ক ম মোজাম্মেল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট, কলেজের একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ছেয়ে ফেলেছে রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার ফেস্টুনে। দূর থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই এগুলোর আড়ালে রয়েছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সভাপতি প্রার্থী আক্কাস আলী, আব্দুর রহমান মাস্টার, রাজীব চৌধুরী,সহ-সভাপতি প্রার্থী, আশিকুর রহমান জিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক, গিয়াস উদ্দিন মোড়ল,সাদ্দাম হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, আব্বাস উদ্দিন খোকন সাধারণ সম্পাদক, আনোয়ার পারভেজসহ অনেক নেতার বড় বড় ফেস্টুন টাঙানো রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুই দিন পর কলেজ খোলা। কিন্তু ব্যানার-ফেস্টুন যেভাবে লাগানো হয়েছে, তাতে ক্লাসে প্রবেশ করাটাই কষ্টকর হয়ে যাবে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের রাজনৈতিক পোস্টার লাগানো কতোটা যৌক্তিক। এটি দেখতেও খারাপ লাগছে। আমরা চাই দ্রুত এসব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হোক।
রাজনৈতিক নেতারা বলছে, কয়েকদিন পর সম্মেলন এজন্য ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। সম্মেলনেকে ঘিরে সবাই যার যার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কলেজ ভবনে এভাবে রাজনৈতিক পোস্টার লাগানো কতটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্নে তারা কোনো জবাব দেননি।
কোনাবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ১৫ তারিখ তাদের সম্মেলন এজন্য তারা কলেজ ভবনে ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েছে। এটি ঠিক নয়, তবে আমাদের কিছু করার নেই। পরশু কলেজ খুলবে তখন একটু সমস্যা হবে।