০৪ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪৯

১৬৯ জনের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬২ জনই শিক্ষার্থী

সড়ক দুর্ঘটনা  © সংগৃহীত

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৯ জন নিহত হয়েছেন। এ মাসে ৪০৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৪৭৬ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেলে নিহতের হার ৩৫.৫০ শতাংশ। মোট নিহতের মধ্যে শিক্ষার্থী ছিলেন ৬২ জন।

সোমবার (০৩ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি, গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিসহ ১০টি কারণ উল্লেখ করেছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১০টি সুপারিশও করেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তাঁরা নিজেরা দুর্ঘটনায় পড়ছেন এবং অন্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছেন। মোটরসাইকেল নিরুৎসাহ করা খুবই জরুরি বলে সুপারিশ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে আহত হয়েছেন ৭৯৪ জন। এই সংখ্যার মধ্যে শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান ১৬৯ জন, যা মোট নিহতের ৩৫.৫০ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪.৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন: আজ রাজধানীর কোথায় কখন লোডশেডিং

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতের মধ্যে নারী ৬২ ও শিশু ৭৭ জন রয়েছে। অন্যান্য সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১.৬৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৩ জন, অর্থাৎ ১৩.২৩ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকায় ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত হয়েছেন ১৪ জন। ১৯-৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩৮৪ জন, অর্থাৎ ৮০.৬৭ শতাংশ। একই সময়ে ৯টি নৌ দুর্ঘটনায় ৭৮ জন নিহত এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। ২১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগস্ট মাসে ৫১৯ জন নিহত হয়েছেন। তখন গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৬.৭৪ জন। সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৫.৮৬ জন। এই হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাণহানি কমেছে ৫.২৫ শতাংশ।

সুপারিশ: দুর্ঘটনা কমাতে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করা, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ, রেল ও নৌপথ সংস্কার এবং সম্প্রসারণ করে সড়কপথের ওপর চাপ কমানো, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে বলা।