দেশে প্রতিমাসে ধর্ষণের শিকার ৭১ শিশু
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতিমাসে ৭১ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন ২ জন শিকার হয় ধর্ষণের।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেণ সংগঠনটির সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি।
প্রতিবেদনে বলা, চলতি বছরের বিগত আট মাসে সারাদেশে ৫৭৪ জন্য কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৬৪ জন একক ধর্ষণের শিকার। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ৮৪ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ৪৩ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) কন্যাশিশু। এ ছাড়া ৮৭ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেমের অভিনয় ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৪৯ কন্যাশিশু ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
গত ৮ মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ১৮১ কন্যাশিশু। বিদায়ী ৮ মাসে ২৩০১ জন কন্যাশিশুর বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে। যা গড়ে প্রতি মাসে দাঁড়ায় ২৮৮জন৷ এ ৮ মাসে ৫৮৯ বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: এসি-ফ্রিজ নিয়ে রাজার হালে ঢাবির হলে থাকছেন চাকরিজীবী ছাত্রলীগ নেতা।
নাছিমা আক্তার জলি বলেন, ৮ মাসে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১৩৬ কন্যাশিশু৷ যাদের মধ্যে ৭৪ জনকে অপহরণ করা হয়েছে৷ এছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ জন। যৌতুক দিতে না পারায় ৫ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করে।
তিনি বলেন, একই সময়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছে ১৩ জন, তাদের ৫ জন যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হত্যার শিকার হয়েছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ শুরু হয় একেবারে জন্মলগ্ন থেকে। কিছু ক্ষেত্রে ভ্রুণ অবস্থা থেকেই। কন্যাশিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও বঞ্চনা প্রতিরোধে কর্মকৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কন্যাশিশুদের সার্বিক চিত্র জানা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ২৪টি জাতীয় জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন দৈনিক পত্রিকা থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।