২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৫

ইরানে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০

হিজাববিরোধী বিক্ষোভ   © সংগৃহীত

ইরানে চলমান হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে প্রতিদিন বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পোশাক বিধি না মানার অভিযোগে মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের মোরালিটি পুলিশ। তিন দিন পর  ১৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ করা হচ্ছে পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে ইরানে ৮ দিন ধরে চলছে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ। এতে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ৫০। 

অসলোভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। তবে ইরান সরকারের তথ্যমতে, নিহতের সংখ্যা ১৭ জন। এর মধ্যে পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মীও রয়েছেন। 

ইরান হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের অন্তত ৮০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের আশপাশের শহরগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে। এর আগে সরকার-সমর্থকেরাও সমাবেশ করেছে। 

আরও পড়ুনঃ চুল কাটছেন, হিজাব পোড়াচ্ছেন ইরানের নারীরা

বিক্ষোভকারীদের জমায়েত ঠেকাতে ইরান সরকার তেহরানে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইন্টারনেট পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য ইরানের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে যাচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক বলেছেন, তিনি ইরানে তার কোম্পানি স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট পরিষেবা চালু করার জন্য নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি চাইবেন। 

ইরান হিউম্যান রাইটসের বিবৃতি থেকে আরও জানা যায়, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর তার জন্মস্থান কুর্দিস্তান থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। কিন্তু এখন তা কেবল কুর্দিস্তানে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতেই ১১ জন মারা যান। দেশের উত্তরাঞ্চলের মাজান্দারান প্রদেশের আমল শহরে তাদের মৃত্যু হয়। একই দিনে একই প্রদেশের বাবল শহরে মারা যান আরও ৬জন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই বিক্ষোভকারী এবং ভাঙচুরকারীদের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে।’