স্ত্রীকে ফেরাতে না পারায় ঘটককে কুপিয়ে হত্যা
স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় ঘটক ঘটক আব্দুল জলিলকে (৬০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের মানাজি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংসার জীবনে এক ছেলে এক মেয়ের বাবা আব্দুল জলিল ইলেকট্রনিক্স দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি ঘটকালির কাজও করতেন। আব্দুল জলিল চার বছর আগে মানাজি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. আলমাসের (২০) বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন।
স-মিল শ্রমিক আলমাসের সঙ্গে ডলি আক্তারের (২০) বিয়ে হয় চার বছর আগে। ছয় মাস আগে সংসারে বনিবনা না হওয়ায় দুই বছর বয়সী শিশু সন্তানকে রেখে বাবার বাড়ি চলে যান ডলি। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে আলমাস ঘটক জলিলকে বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু ডলিকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন জলিল। এরই জের ধরে জলিলকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন আলমাস। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে আলমাসসহ পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতক করুন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে
আলমাসের মামা আল আমীন জানান, বৈবাহিক জীবনে কলহের জের ধরে জলিলের ওপর আলমাসের ক্ষোভ ছিল। এরই মধ্যে আলমাস ও ডলির ডিভোর্স হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলমাসের দাদি রাহাতন বেওয়ার সঙ্গে কথা বলছিলেন জলিল। ঘটককে দেখে অন্যঘর থেকে দা নিয়ে ছুটে এসে তার মাথায় ও ঘাড়ে কোপ দেন আলমাস। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জলিল।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী চলে যাওয়ায় ঘটকের ওপর আলমাসের ক্ষোভ ছিল ।প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ঘটককে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে পুলিশের।