ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের দাবি শিক্ষার্থীদের
রাজধানীতে মানসম্মত গণপরিবহনের অভাব বহু দিনের। আর এ কারণে দিনে দিনে বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। যার ফলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যানজট। ব্যক্তিগত গাড়ি চলার জন্য যেমন জায়গা যায়, থামার জন্য তার চেয়ে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। রাজধানীতে মানসম্মত গণপরিবহনের অভাব বহু দিনের। আর এ কারণে দিনে দিনে বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। যার ফলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যানজট। ব্যক্তিগত গাড়ি চলার জন্য যেমন জায়গা যায়, থামার জন্য তার চেয়ে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০২২ পালন উপলক্ষে এক র্যালি আয়োজিত হয়। ‘জ্বালানি ব্যবহার ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত রাখি’ শীর্ষক র্যালিটি ধানমন্ডি ২৭ এর মোড় থেকে শুরু হয়ে আবাহনী খেলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
সম্মিলিতভাবে এটির আয়োজন করে রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, ধানমন্ডি কচিকন্ঠ হাই স্কুল, আলী হোসেন বালিকা বিদ্যালয়, ছায়াতল বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশ, কারফ্রি সিটিস এলায়েন্স বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ।
দূষণ, যানজট, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে হাঁটা, সাইকেল ও গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেওয়ার ওপর জোর দেন বক্তারা। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
র্যালিতে অংশ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন। এসময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৭৬ শতাংশ ট্রিপ দুই কিলোমিটারের মধ্যে সংঘটিত হয়। হেঁটে যাতায়াতের আনন্দদায়ক ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে অনেকেই হাঁটতে উৎসাহিত হবেন। দৈনন্দিন কাজে অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
আরও পড়ুন: বিসিএস ছাড়া সব সরকারি চাকরিতে বয়সে ছাড়
বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালন শুরু হয় ২০১৬ সালে। আজও দেশে পালিত হবে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। এ বছর ‘জ্বালানি ব্যবহার ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত রাখি’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীরা বলছে, গণপরিবহন উন্নত হলে ব্যক্তিগত গাড়ির এত চাহিদা থাকত না। মানসম্মত গণপরিবহনের অভাবে বাধ্য হয়েই তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করছে।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা তিন লাখ ৭২ হাজার ১৩৭টি। এর মধ্যে ২০২০ সালে নিবন্ধন হয়েছে ১২ হাজার ৪০৩টি। আর চলতি বছরের মে পর্যন্ত নিবন্ধন নিয়েছে ছয় হাজার ১৯৬টি গাড়ি।