দেশ রূপান্তরের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের মামলা
সম্প্রতি ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করে দেশ রূপান্তর পত্রিকা। এরই জের ধরে পত্রিকাটির প্রকাশক মাহির আলী খাঁন রাতুল ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পাভেল হায়দার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা করেছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৫০০/ ৫০১/ ৫০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ এনে এ মামলা করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম শহীদুল ইসলাম প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর দেশ রূপান্তরের প্রকাশক ও প্রতিবেদককে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। বাদী নিজে মামলায় প্রথম সাক্ষী হয়েছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে দ্বিতীয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে তৃতীয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশিকে চতুর্থ সাক্ষী করাসহ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আরো দুই নেতাকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একইদিনে দুই ভর্তি পরীক্ষা, বিপাকে ভর্তিচ্ছুরা
গত ৬ জুলাই ‘ছাত্রলীগের পদ কোটি টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশ রূপান্তর পত্রিকা। পরদিন ৭ জুলাই আইনি নোটিশ পাঠানো হয় দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে। এতে প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বানোয়াট দাবি করে ভুল স্বীকার করে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিবেদন প্রকাশের আড়াই মাস পর মানহানির এ মামলা করলো ছাত্রলীগ।
আরজিতে বলা হয়, দেশ রূপান্তরে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের তারিখ ও শিরোনাম উল্লেখ করে বলা হয়, অনলাইন ও মুদ্রিত মাধ্যমে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট রিপোর্ট মুদ্রণ লিখন, প্রচার ও প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রাচীনতম এ ছাত্র সংগঠনের সুনাম, গৌরব ও ঐতিহ্যে আঘাত করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাক্ষীর মানহানি করেন। এরূপ মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য লিখন, মুদ্রণ, প্রচার ও প্রকাশ করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সুনাম ও সুখ্যাতিতে আঘাত করে মানহানি করেছেন।
আরজিতে আরও বলা হয়, আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে অপমান ও অপদস্থ এবং হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে এরূপ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় অপরাধ করেছেন।