তুমব্রুর পর এবার উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি
বান্দরবানের তুমব্রুর পর এবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে এবার নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার পর মর্টার শেলের মতো ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দে কেঁপে ওঠে পালংখালী এলাকা। থেমে থেমে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী জানান, বান্দরবানের তুমব্রুর পর এবার আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে তারা যাতে ভয়ে না থাকেন, সেজন্য বোঝানো হচ্ছে। বিষয়টি সীমান্ত বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় আছি। সকালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে আমার এক ইউপি সদস্য কল করে জানান। পরে আমি বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ‘ফায়দা লুটতে চায় মিয়ানমার, উসকানিতে পা দেবে না ঢাকা’
পালংখালী আঞ্জুমান সীমান্তের বাসিন্দা খালেদা বেগম বলেন, এত দিন পত্রিকায় ও টেলিভিশনে শুনেছি সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। আজ সকালে আমাদের আঞ্জুমান সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের এলাকার মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘সকালে উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা অবহিত করেছেন। এখানে সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে প্রায় ১০০ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে সকাল ৮টা থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে আবারও গোলাগুলি চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সীমান্ত এলাকায় প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরেই গোলাগুলি চলছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দার চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন। এ ঘটনায় সীমান্তের ৩০০ পরিবারকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন।