‘ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
খুলনায় তনুশ্রী মাঝি নামের এক কলেজছাত্রী সুইসাইড নোটে তিনজনের নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যা করেছেন। তুনশ্রী খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের হড্ডা গ্রামের দিপক মাঝির মেয়ে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তনুশ্রী। তিনি গড়ইখালী আবু মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম দোহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুইসাইড নোটের একটি অংশে লেখা ছিল, ‘আমি সঠিকভাবে বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না। ওরা আমার পিছনে খুব ভালোমতো লাগিছে। আমি না মরা পর্যন্ত শান্তি পাবে না। শুভ, আলিফ, মিহির ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না।’
কলেজ ছাত্রীর বাবা দিপক মাঝি জানান, ‘বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়ের গলায় দড়ি দেয়ার কথা শুনে ঘরে জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করি। আমি মেয়ের পা উঁচু করে ধরি আর তার মা রশি কেটে দেয়। কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারিনি।’
কয়রা থানার ওসি এবিএম দোহা জানান, নিহত তনুশ্রী মাঝির কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নোটে মৃত্যুর জন্য তিনজনকে দায়ী করেছেন তনুশ্রী। সুইসাইড নোটের একটি অংশে লেখা ছিল- ‘আমি সঠিকভাবে বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না। ওরা আমার পেছনে খুব ভালোমতো লেগেছে। আমি না মরা পর্যন্ত শান্তি পাবে না। শুভ, আলিফ, মিহির ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না। ’
ওসি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তনুশ্রী নামে এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি একটি সুইসাইড নোটে তিনজনের নাম লিখে গেছেন। তবে আত্মহত্যার কারণ আমরা এখনও জানতে পারিনি। নোটে হাতের লেখা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।