রাজধানীতে ফের আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
রাজধানীতে আবারও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মিরপুরে এই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে দলের তিন কর্মী নিহতের প্রতিবাদে বনানীতে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। বনানীর কাকলী থেকে গুলশান-২ নম্বর গোলচক্কর পর্যন্ত আজ সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর এক ঘণ্টার বেশি সময় আগে রাস্তায় জড়ো হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। পরবর্তীতে সেখানে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দিচ্ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। রাত পৌনে আটটার দিকে কর্মসূচির প্রধান অতিথি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য শেষ করার পরপরই ইট–পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা।
এ সময় বিএনপি নেতা–কর্মীরা প্রথমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা–কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে একযোগে হামলা করলে সবাই বনানী কে ব্লকের ২৬ নম্বর রোড দিয়ে সরে যান। এ সময় ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হন। কর্মসূচিতে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানকে কয়েকজন ধরাধরি করে রাস্তা পার করেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমাদের কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার অপর পাশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিছিল করছিল। কিন্তু যখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন অপর পাশ থেকে এসে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা।
তিনি আরও বলেন, এ হামলায় বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নারী কর্মীরাও আহত হয়েছেন। গত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল গুরুতর আহত। বিস্তারিত পরে পরে বলা যাবে। এভাবে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা হতে পারে মাথাতেই আসে না।