মিয়ানমার সীমান্তে ‘মাইন’ বিস্ফোরণে পা উড়ে গেলো বাংলাদেশির
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। বিস্ফোরণে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওই যুবকের একটি পা। ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের সংলগ্ন মিয়ানমারের ১০০ গজ অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন , নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস। তিনি জানান, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সীমান্ত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে স্থানীয়দের। সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে ঘটনার পর থেকে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ আলম জানান, সীমান্তের ওপারে গরু আনতে গিয়ে এই যুবক বিস্ফোরণের শিকার হন। তিনি আরও জানান, আহত যুবক ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়ার অংথোয়াইং তঞ্চঙ্গা (২২)। তিনি অঙ্গোথোয়াই তঞ্চঙ্গার ছেলে।
আরও পড়ুন: যশোরের এসএসসির বাংলা ২য় পত্রের বহুনির্বাচনি পরীক্ষা স্থগিত
ইউপি সদস্য আলমের ধারণা, ওই যুবক সীমান্তের ওপারে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, সকালে অংথোয়াইংসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক সীমান্ত এলাকায় গরু চড়াতে যান। এক পর্যায় গরু সীমান্তের শূন্য-রেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অংশে ঢুকে পড়ে। তারা গরু ফিরিয়ে আনতে ওপারে গেলে বিকট শব্দে ঘটে বিস্ফোরণ।
তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওই যুবকের একটি পা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে, অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বিজিবি বা পুলিশ কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।