ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু, দেখতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনার মদনে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে চয়ন হাসান (৩৩) নামের এক পল্লী চিকিৎসক মারা গেছেন। এদিকে এই দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখতে যাওয়ার পথে অটোরিকশার চাপায় নাসিফা আক্তার (৬) নামের এক শিশু মারা গেছে। নিহত নাসিফা আক্তার বালালী গ্রামের জুয়েল মিয়ার মেয়ে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ বাড়ির সামনের পুকুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান তিনি। চয়ন হাসান উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সামনের পুকুর থেকে বিদ্যুতের মোটর দিয়ে পানি দিচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। মোটরের তাড়ে চয়ন হাসানের ৬ বছর বয়সী ছেলে জিহান বিদ্যুতায়িত হয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিলে চয়ন হাসান নিজেও বিদ্যুতায়িত হন। পরে স্থানীয় লোকজন চয়ন হাসান ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক চয়ন হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তাঁর ছেলে জিহান প্রাণে বেঁচে যায়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার আসলেই মসজিদ পরিষ্কার করেন শিক্ষার্থীরা, নেন না পারিশ্রমিক
অপর দিকে, এই ঘটনার খবর শুনে দেখতে আসার পথে অটোরিকশা চাপায় আহত হয় প্রতিবেশী জুয়েল মিয়ার মেয়ে নাসিফা আক্তার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথেই মৃত্যু হয়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই দুই ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।