জাল সনদের মাধ্যমে বিএড স্কেল প্রাপ্তির অভিযোগ
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাশেদুল হাসানের বিরুদ্ধে সনদ জাল করে বিএড স্কেল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সহকারী শিক্ষক মো. রাশেদুল হাসান (ইনডেক্স নম্বর N1065095) রয়েল ইউনিভার্সিটির সনদ জাল করে ২০১২ সালে বিএড স্কেল প্রাপ্ত হন। বিভিন্ন সময় অডিট হলেও তার জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএড স্কেল পেয়ে অনৈতিক ভাবে সরকারি ভাতা গ্রহণ করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রাশেদুল হাসান কখনো রয়েল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হননি। তিনি টাকার মাধ্যমে ওই ইউনিভার্সিটির সনদ বানিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি স্কুলের অনেকেই জানে। তবে অজানা কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক রাশেদুল হাসান। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি এ বিষয়ে আমার ডিডি (কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালক) এর কাছে সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখছে।
আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছে ডিভাইসসহ ভর্তিচ্ছু আটক
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলিপ পাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে কেউ সনদ জাল করে বিএড স্কেল প্রাপ্ত হয়েছে এমন বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালক রোকসানা ফেরদৌস দ্যা ডেইলিক্যাম্পাসকে বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের কাছে প্রতিনিয়তম অসংখ্য অভিযোগ এসে জমা হয়। এ ধরনের কোনো অভিযোগ এসেছে কিনা জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।