১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৪৫

আর্থিক স্বচ্ছতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি : মার্কিন প্রতিবেদন

অর্থনীতি  © সংগৃহীত

আর্থিক স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ‘ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি ২০২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।

বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশের অবস্থা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে ৭২টি দেশ। আর আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেনি ৬৯টি দেশ। তবে এ ৬৯টি দেশের মধ্যে ২৭টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

আরও পড়ুন: মানারাত ইউনিভার্সিটিকে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলা হবে: সাদেকা হালিম।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সম্পর্কে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার একটি যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে বছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। প্রস্তাবিত নির্বাহী বাজেট জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছাতে পেরেছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগে আর্থিক বরাদ্দ এবং সর্বজনীনভাবে বাজেট নথিতে আয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তবে বাংলাদেশের রাজস্ব খাতের স্বচ্ছতায় অগ্রগতি আনতে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো :

১. আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বাজেট নথি প্রস্তুত করা;
২. সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মান পূরণ করা এবং তাদের পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে তা নিশ্চিত করা;
৩. যথাসময়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা, যাতে মূল অনুসন্ধান, সুপারিশ ও বর্ণনা থাকে; 
৪. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ পুরস্কার সম্পর্কে মৌলিক তথ্য সর্বজনীনভাবে ও ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা।

এছাড়া প্রতিবেদনে, আর্থিক স্বচ্ছতা পর্যালোচনার পাশাপাশি মার্কিন সহায়তা প্রাপ্ত দেশগুলো মার্কিন করদাতাদের তহবিল যথাযথভাবে ব্যবহার করেছে কিনা সে ব্যাপারেও আলোচনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজস্ব খাতে স্বচ্ছতা আনতে, কর ও রাজস্ব কীভাবে ব্যয় করা হয় এবং কার্যকর সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর বৈশ্বিক আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।