‘বাংলার গায়েন’ প্রতিযোগিতায় সেরা ত্রিশে খুবির শাশ্বতী
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে অনুষ্ঠিত লোকগানের প্রতিযোগিতা ‘বাংলার গায়েন’ এ সেরা ৩০-এ স্থান পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাসনিয়া জামান শাশ্বতী। গত মঙ্গলবার প্রথম সারির ৩০ শিল্পীর তালিকা প্রকাশ করেছে প্রতিযোগিতার আয়োজকরা। এই আয়োজনের বিচারক হিসেবে রয়েছেন এস আই টুটুল, শওকত আলী ইমন, ইবরার টিপু।
এই প্রতিযোগিতায় ৩০ জন শিল্পীকে ১০ জন করে তিনজন বিচারক ভাগ করে নিয়েছেন। তাসনিয়া জামান শাশ্বতী বিচারক শওকত আলী ইমনের অধীনে রয়েছেন। এছাড়া আরটিভি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেরা এই ৩০ জন শিল্পী দেরকে নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করবে। বিচারকেরাও এতে একমত প্রকাশ করেছেন। এর আগে দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ১৭ নভেম্বর প্রতিযোগিতার স্টুডিও অডিশন রাউন্ড শুরু হয়। প্রথম রাউন্ডে ১০০ জন থেকে বাদ পড়েন ৫০ জন।
এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডে ৫০ জন থেকে সেরা ৩০ জনের নাম উঠে আসে। সেখানে তাসনিয়া জামান শাশ্বতী জায়গা করে নেন। করোনা মহামারির এ সময়ে ঘরবন্দী বাংলার সুরকে বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দিতে আরটিভি আয়োজন করে ‘বাংলার গায়েন’ প্রতিযোগিতার। গত ১১ জুন এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। আয়োজনের প্রাথমিক বাছাই পর্ব শুরু হয় অনলাইনে। অনলাইনে দুই লাখ ১৪ হাজার প্রার্থী গান জমা দেন।
সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ৪২১ জনের গান গ্রহণ ও প্রকাশ করা হয় বাংলার গায়েনের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে। এক হাজার ৪২১ থেকে সেরা ৩০০ জনকে খুঁজে বের করে নেয়া হয় দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য। সেখান থেকে সেরা ১০০ জনকে বাছাই করা হয়।
প্রতিযোগিতা নিয়ে তাসনিয়া জামান শাশ্বতী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বেঙ্গল সিমেন্ট নিবেদিত বাংলার গায়েন প্রতিযোগিতায় মূলত ২ লাখের বেশি প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেছিলেন। সবার মধ্যে থেকে সেরা ৩০ জনে আসতে পেরে খুব আনন্দিত। এ অনুষ্ঠান থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেটা মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরটিভি বাংলার গায়েন আমাকে আমার স্বপ্নের মঞ্চের সিড়িতে পৌছে দিয়েছে। এ পর্যন্ত আসার পেছনে আমার বাবা-মা, শিক্ষক, বন্ধুদের বেশ বড় অনুপ্রেরণা রয়েছে। যেহেতু ফাইনালে ছয় জন থাকবে তাই আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার।’ ভবিষ্যতে গান নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদিও এখনও পূর্ণাঙ্গ শিল্পী হয়ে উঠতে পারিনি। তাই পড়াশোনা যেমন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত, তেমনি গান আমার জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবেই জড়িত। নিজেকে আরো কিভাবে সমৃদ্ধ করা যায় এবং সবাইকে গান দিয়ে কিভাবে সমৃদ্ধ করা যায় সেই চেষ্টা করবো।’
শাশ্বতী বলেন, ‘সব ধরনের গান আমি মূলত করে থাকি। কিন্তু যেহেতু ফোক গানের রিয়েলিটি শো প্লাটফর্ম থেকে আমার শুরুটা হয়েছে, সেহেতু বাংলার ফোক গান নিয়ে কাজ করতে চাই। এখনকার তরুণ প্রজন্ম ফিউশন বেসিস ফোক গানগুলো পছন্দ করছে। তাই এ ধরনের কাজের সাথে থাকার পরিকল্পনা আছে।’