আস্থা আছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ হবে
আমি ২০০৭-এর মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করি। তখন ১০ পাউন্ড (সাড়ে চার কেজি) চালের দাম ছিল ৮/৯ ডলার। তখন এখানকার লোকজনের সর্বনিম্ন মুজুরি ছিল প্রতি ঘণ্টায় সাড়ে সাত ডলার, বর্তমানে তা ১৩/১৪ ডলার। আর সেই চালের পাউন্ড ৮ ডলার থেকে বেড়ে ২৬ ডলার। দাম বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি, বেতন বেড়েছে দ্বিগুন। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম গত ১৪ বছরে দ্বিগুন/তিনগুন বেড়েছে।
আমাদের দেশে পরিকল্পনা করে-মিটিং,সেমিনার করে বছরে দু/একবার তেলের দাম বাড়ানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি মুহূর্তে তেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত রাতে দেখে এসেছি এক গ্যালন তেল ৩.৫৯ ডলার। সকালে গিয়ে দেখি ৩০ সেন্টস অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় ২৭/২৮ টাকা বেড়ে গেছে।
গত একমাসের প্রতিদিনই কিছু না কিছু বাড়ছে। বিশ্বের যেখানে যারাই আছেন সবাই একই কথা বলছেন। দ্রব্য মূল্য এখন লাগামহীন। এর উপর আবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বুঝা মুশকিল।
বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। টিভি-পত্রিকার প্রতিদিনকার সংবাদ দেখলেই দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। কারণ উন্নত দেশগুলোর মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষগুলোর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান।
আরও পড়ুন: তেলের লিটার ২শ টাকা, গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য ১৩৯১
তবে করোনা মহামারীর বিশ্বমন্দার সময় শেখ হাসিনা সরকারের দক্ষ নিয়ন্ত্রণ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। এই দক্ষতা দিয়ে এবারও হয়তো বাংলাদেশ উৎরে যাবে। ওনার নেতৃত্বের প্রতি দেশের মানুষের এই আস্থা আছে।
তবে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। আর তা হচ্ছে কারণে-অকারণে, জায়গায়-বেজায়গায় কিছু দায়িত্ববান মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অযাচিত কথাবার্তা।
কিছু মিডিয়া যেমন উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে, ঠিক তেমনি কিছু উচ্চমহলের প্রোফাইল সম্পন্ন মানুষের উল্টা-পাল্টাও অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তায় সাধারণ জনগণ বিরক্ত হচ্ছেন। এইসব কথাবার্তা কম বলে কাজে মনোনিবেশ করা উচিত। অথবা বেতনের টাকা পকেটে নিয়ে বাজার করে দেখা উচিত মানুষ কেন ক্ষুব্ধ হচ্ছে। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে, বিরোধীরা আর সুবিধা করতে পারবে না। [ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]