বিজয় র‍্যালীর ঢাকা শহর ও যুবলীগের নামে চাঁদাবাজি

এই ব্যাজ পরিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়
এই ব্যাজ পরিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়  © সংগৃহীত

ঢাকা শহরে কোন বড় আয়োজনের জন্য প্রায়শই যানজট ও রাস্তা বন্ধের সামগ্রিক ও সময়মত সংবাদ পাওয়া যায় না। তাই পথে নেমে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিজয়ের পঞ্চাশতম বছরের উদযাপনেও আজ ও গত কয়েক দিন একই অবস্থা। তার মাঝে আজ আমার হলো এক অযাচিত অভিজ্ঞতা।

সেগুনবাগিচার গলিতে আজ ভর দুপুরে হাসিমুখে কয়কজন তরুণ আমার রিকশা ঘিরে দাঁড়ালো। আমার সামনে একটি গাড়িও আটকানো হয়েছিল। এক এক করে তিনটি ব্যাজ পরিয়ে দিতে দিতে তারা বললো, বিজয় র‍্যালির উৎসবে যুবলীগের কর্মীদের জন্য খুশি হয়ে কিছু টাকা দিতে। কিন্তু প্রায় জোর জবরদস্তি করা হলো আমার সাথে। বলা হলো কেউ কেউ ১০ হাজার টাকাও দিয়েছে।

প্রতিটি ব্যাজের নামে আমার কাছে শেষে দর কষাকষি করে ২ হাজার টাকা করে চাওয়া হলো। আমি যতই বলি আমার পকেটে বেশি টাকা নেই, ছেলে ৩ জনও ততই নাছোড়বান্দা। শেষে দুটো ৫০০ টাকার নোট ও একজনের মাথায় আশীর্বাদ (!!) করে আমি মুক্তি পেলাম।

এই অভিজ্ঞতা আমার প্রথম, তবে রিকশা বা সিএনজি অটো থামিয়ে অতীতে আমার কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনতাই হয়েছে অনেক দিন আগে– সেই ঘটনাই মনে পড়ল।

বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে এমন ঘটনায় আমি ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে জানাবো কি জানাবো না, জানালে কোন বিপদে পড়ি কিনা, লিখলে আদৌ এসব বন্ধ হওয়ার কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা– এসব ভেবেও লিখলাম। টাইম লাইনে থাকুক, আর কিছুই না হলেও।

লেখক: শহীদ মুনীর চৌধুরীর সন্তান ও সাবেক প্রোগ্রাম অফিসার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা


সর্বশেষ সংবাদ