‘সারা বিশ্বের মিডিয়ার কাছে বাংলাদেশের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে’

রোজিনা ইসলাম ও আশরাফুল আলম খোকন
রোজিনা ইসলাম ও আশরাফুল আলম খোকন  © সংগৃহিত

এই ঘটনা সারা বিশ্বের মিডিয়ার কাছে বাংলাদেশের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আজ ক্লাসে আমার কোর্স টিচারও এই ঘটনা আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন। ক্লাসের সবাই যেহেতু বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত তাদেরকেও আমার অনেকভাবে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। ব্যাখ্যা যাই দেই না কেন, লজ্জিত হয়েছি।

বিশ্বের সব দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরাই অনেকভাবেই তথ্য সংগ্রহ করেন। মানলাম রোজিনা ইসলাম চুরি করে মোবাইল দিয়ে ফাইল থেকে ছবি নিয়েছেন কিংবা কাগজ নিয়েছেন। নিশ্চয় তিনি চুরি করে রুমে প্রবেশ করেননি। অনুমতি নিয়েই প্রবেশ করেছেন। যিনি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন তিনিতো জানতেনই রোজিনা ইসলাম একজন ঝানু সাংবাদিক। তারও সতর্ক থাকা দরকার ছিল।

পুরো ঘটনাচক্র দেখে মনে হয়েছে বিষয়টির প্রতিকার অন্যভাবেও করা যেত। এতে সরকার লজ্জিত না হয়ে সাংবাদিকরা লজ্জিত হতেন। রোজিনা ইসলাম হিরো না হয়ে জিরো হয়ে যেত। যখন রোজিনা ইসলামকে ধরেই ফেললেন তখন সুশিক্ষিত একটি পেশার লোকজনের এরকম উদ্ভট আচরণ করা ঠিক হয়নি। ভিডিও দেখে তাই মনে হয়েছে।

তাদের উচিত ছিল রোজিনা ইসলামকে বসিয়ে রেখে তার অফিস, এবং সাংবাদিক নেতাদের খবর দেয়া। রোজিনা ইসলামের অন্যায়(!) তাদেরকে বিস্তারিত জানানো। বিচারের দায়িত্ব তাদেরকে দিয়ে রোজিনা’র অফিসের জিম্মায় লিখিত নিয়ে তাকে দিয়ে দেয়া। এরপর অফিস ওনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কি ব্যবস্থা নেয় সেটার জন্য অপেক্ষা করা। যদি রোজিনার প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশও থাকে তাহলে প্রেস রিলিজ দিয়ে পুরো বিষয়টি মিডিয়াকেও জানিয়ে দেয়া যেতো। এককাজে অনেক কাজ হয়ে যেতো। সাংবাদিক বান্ধব একটি সরকারকে বিব্রত হতে হতো না, উল্টো সাংবাদিকরা বিব্রত থাকতেন। আজকে যেসব সাংবাদিকরা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, তাঁরাই রোজিনা’কে ছি ছি করতেন।

আইনগত বিষয়ে যাওয়ার বিষয়ে এরপরও সিদ্ধান্ত নেয়া যেত। [ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]


সর্বশেষ সংবাদ