তবুও অসুস্থ মমতার প্রতি সহানুভূতি
যে কোনও কারণেই হোক, নিজের দোষে, বা অন্যের দোষে, দুর্ঘটনায় অথবা দুর্ঘটনায় নয়, পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পায়ে আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে শুয়ে আছেন পায়ে বিশাল এক ব্যান্ডেজ নিয়ে। দেখে কষ্ট হলো। আমি জানি হাড় ভাঙলে বা অ্যাংকেল স্প্রেইন হলে কী মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। দুই তিনবার আমার হয়েছে। যন্ত্রণায় আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করার কথাও আমার মনে আছে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাকে কলকাতায় প্রবেশ করতে দেন না জানি, মুসলিম মৌলবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করেন জানি, টিভিতে আমার লেখা মেগা সিরিয়াল প্রচার করতে দেননি- তারপরও আমি অসুস্থ মমতার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছি। করেছি বলে কেউ ভালো বলছে, কেউ আবার খারাপ বলছে, কেউ কেউ তিরস্কার করছে, বলছে আমি নাকি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।
কেউ বলছে মমতা বন্দোপাধ্যায় নাটক করছেন, এমন নাটক তিনি প্রায়ই করেন। বলছে দুর্ঘটনায় তিনি আঘাত পেয়েছেন, কেউ তাঁর ওপর আক্রমণ করেনি। দুর্ঘটনার তথ্যই, আমি মেনে নিচ্ছি, সঠিক। যখন আমি সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলাম, তখন পর্যন্ত খবর ছিল যে ভিড়ের মধ্যে তাঁর ওপর কে বা কারা আক্রমণ করেছে।
যখন পুলিশ জানালো এ নিতান্তই দুর্ঘটনা, আমি কি সহানুভূতি তুলে নেব? না, নেব না। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার অমিল আছে, তাঁর রাজনীতির কিছু পদ্ধতি আমি অপছন্দ করি, কিন্তু অসুস্থ হয়ে যখন তিনি শয্যাশায়ী, আমি তাঁর আরোগ্য কামনা করবোই, যে যত অপবাদই দিক আমাকে।