সংকট-শঙ্কা বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি যৌক্তিক!

প্রতীকী
প্রতীকী

চারদিকে হতাশা আর হতাশা। একটু চোখ বুলালেই দেখা যায় স্বপ্ন নিয়ে সাহসের পথচলা ব্যক্তিটিও হতাশায় নিমজ্জিত। গ্রামের মেঠোপথের চাঞ্চল্যকর যে ছেলে সবাইকে হাসিয়ে ছাড়েন, মাতিয়ে তুলেন মঞ্চ; তারও দিনশেষে সঙ্গী হলো সেই হতাশা। এই হতাশা কেন? তার বেশ কয়েকটি কারণ হলো- অর্থ, স্বাস্থ্য, যৌনতা আর ক্যারিয়ার। এ চারটি বিষয়ে জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

অর্থ সুখের মূল। আবার সেই অর্থ অনর্থের মূল। তারপরেও জীবন থেকে এটার কোন বিচ্ছেদ নেই। পাগল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ আসীন ব্যক্তিটিরও অর্থের প্রয়োজন। আর স্বাস্থ্য হলো এক সম্পদ। সেটা যে রোগা স্বাস্থ্য নিয়ে আছেন তার কাছে গেলেই সদুত্তর পাওয়া যাবে। শরীরের এ অবস্থা কেন? একটু খাওয়া দাওয়া করতে পারো না! খারাপ কাজ ত্যাগ করো। এ কথাগুলো বলতে থাকা ব্যক্তিগুলো ও কিন্তু স্বাস্থ্যের মর্যাদাটা বুঝেন। কিন্তু অনুমান করতে একটু আধটু বুঝি সময়ের প্রয়োজন হয়।

ইন্টারমিডিয়েটে থাকাকালীন মহাত্মা ফ্রয়েডকে মনে হতো বাজে একজন লোক। সবখানে যৌনতা কে খুঁজে পান! কিন্তু সময়ে তিনি খুব প্রাসঙ্গিক তত্ত্বগুলো দিয়েছেন। জীবনকে এক অর্থে বলতে গেলে বলতে হয় জীবন মানে যৌনতা। যিনি এটা স্বীকার করেন না তিনিও তার জীবনকে ব্যয় করেন যৌনতার স্বাদটা মেটানোর তরে। সুযোগের অভাবে পল্লী পল্লী আর ফার্মগেট থেকে শুরু করে মাস্টারবেশন, টয়ই তার সমাধান মনে করে। এ জায়গায় তার মাহাত্ম্য বুঝা যায়। যার কাছে এই সুখটা নেই সে জানে কত গুরুত্বপূর্ণ এই যৌনতার!

মানুষ বিভিন্ন ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখে কেন? তাতে হতাশা, শঙ্কা, সংশয় আর সংকট মুক্ত জীবন পরিচালনা করার জন্য। এই চারিদিক বিবেচনায় কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাপে অতিক্রম করতে যাচ্ছে বিশ্ব। এই চরম মূহুর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে কথা বলছি।

শোনেন, নিজেকে একটু ভিন্ন জায়গায় চিন্তা করলে মনে হয় ‘আলালের ঘরের দুলাল’ ছাড়া সকলের কাছে মনে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত। কারণ, যে শিক্ষার্থী টুিউশন/পার্ট টাইম কাজ করে নিজেকে আর সংসার পরিচালনা করেন তার কি অবস্থা! তিনি কতটুকু সুস্থ আছেন?

মোড়লদের রক্তচক্ষুর আঘাতে গ্রামের সহজ সরল মানুষের একমাত্র আশার প্রদীপ সন্তানের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের কি অবস্থা? প্রেমে ব্যর্থ হয়ে জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে পরপারে পাড়ি জমাতে চাওয়া মানুষটি কেন অসহায়! হতাশা আর ব্যর্থ হয়ে জীবনকে তুচ্ছ করে আত্মহত্যার মিছিলে শামিল হওয়া ব্যক্তিকে নিয়ে চিন্তা করছি কী?

সংকটের কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া মানুষের অবস্থা কি? তার সন্তানরা কি করে? কীভাবে আয় হয় তার! ইত্যাদি প্রশ্নের ভিড়ে কি মনে হয়? ডিভাইস, নেট প্রবলেম আর সংকটের কারণে অনলাইন ক্লাসে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীকে নিয়ে কি ভাবছেন কখনো? নিম্নবর্গীয়দের কথা চিন্তা করে ঝড়ের গতিতে অনলাইন সফটকপি এসাইনমেন্ট, পরীক্ষাসহ যাবতীয় কাজই সমাধান?

বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব না অনেক ক্ষেত্রে। তারপরেও বিকল্প ব্যবস্থা অথবা সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি সময়ের সাথে শতভাগ যৌক্তিক বলে মনে করি।

শিক্ষার্থী: গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ সংবাদ