অনলাইন ক্লাস: ভোগান্তি ও শিক্ষকদের প্রতি আহবান
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সম্প্রতি অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের সেশনজট নিরসনের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেছে। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা প্রতিনিয়ত ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্টসহ সকল শিক্ষাক্রমে অংশগ্রহণ করছে।
প্রতিনিয়ত তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে মাননীয় উপাচার্য স্যারের সাথে সম্প্রতি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আলোচনায় বসেছি। সেশনজট, সেশন ফি কমিয়ে আনাসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছি উপাচার্য স্যারের নিকট। তারপর তিনি সকল প্রকার সমস্যা নিরসনে আশ্বস্ত করেছেন আমাদেরকে। এটা আমাদের সফলতা বলে মনে করি।
কিন্তু একটি অন্যতম প্রধান অসুবিধা যা অনেক শিক্ষার্থী আমাদেরকে অবহিত করেছে তা হচ্ছে রুটিন বিপর্যয়। অনেক বিভাগে রুটিন মাফিক ক্লাস হচ্ছে না, যাতে করে শিক্ষার্থীদের ঘন্টার পর ঘন্টা নেট কিনে অপেক্ষা করতে হয়। অনেক বিভাগেই সকাল-বিকাল, দিন-রাত সময়সূচী ও ক্লাসরুটিন না মেনেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও শিক্ষার্থীবান্ধব নয়।
আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। নিজেদের ও পরিবারের খরচ, পড়াশোনার খরচ ও ইন্টারনেট ডাটা কিনতে অনেককেই টিউশনি বা পার্টটাইম জব করতে হয়। সারাদিন ক্লাস করার পর বিকালে ও সন্ধ্যায় তারা টিউশনিতে যায়।
কিন্তু রুটিন বহির্ভূত ক্লাস ও ছুটির দিনে বাড়তি ক্লাস নেওয়ার ফলে তাদের ক্লাস করাটা কষ্টসাধ্য বা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সম্মানীয় শিক্ষকগণের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনারা মানবিক দিক বিবেচনা করে বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন। যাতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
লেখক: সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ