শিক্ষিত করোনা

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মত পরিবেশ তৈরি হইনি মানলাম। আচ্ছা মাদ্রাসা কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন না? নাকি সরকার তাদের জীবনের মায়া করে না তাই মাদ্রাসা খোলা?

এদিকে তারা ‘ও’ লেভেল, ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষাও নেবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের জীবনের কি মায়া নেই? ওহ সেখানে তো সব ধনীর দুলালরা পড়াশোনা করে। ওদের সেশনজট পড়লে সমস্যা।

সারাদেশ যেখানে আপন গতিতে চলতেছে সেখানে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি কেন ‘না’? মার্চের ১৮ তারিখে যাদের বয়স ৩০ হয়েছে তাদের জন্য শুধু ৬ মাস বয়স বাড়িয়েছে। তাহলে যার বয়স এপ্রিলে ৩০ হইছে সে কী দোষ করল? আর আমরা যারা অনার্সের রানিং শিক্ষার্থী আমরাই বা কি দোষ করলাম?

যে ছেলেটা কৃষক পরিবার/মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসছে; চাকুরীটা পেলে পরিবারের হাল ধরবে তার কাছে করোনা কিছুই না। বেকারত্ব তার কাছে করোনার চেয়ে ভয়াবহ।

নিজের সন্তান মনে করে আমাদের অনেক আগলে রেখেছেন। আর আগলে রাখার দরকার নেই। সবার যা হবে আমাদেরও তাই হবে। এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তত খুলে দেন। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলে সেই মাসি রাক্ষস সমতুল্য হয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ