কিছু ফিরে পাওয়ার থাকলে স্কুল জীবনটা চাইতাম
জীবনে যদি কোনো কিছু ফিরে পাওয়ার সুযোগ থাকতো তবে আমি আমার স্কুল জীবনটা ফিরে পেতে চাইতাম। বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল একটি ভালোবাসার স্থান। মনে পড়ে, স্কুলে যখন পড়তাম মধুবন চানাচুর কিনলে কেউ ফিফটি বলার আগে নো ফিফটি বলার প্রতিযোগিতা করতাম।
কারণ, ফিফটি বলে ফেল্লেই ভাগ দিতে হবে। ক্লাসে লুকিয়ে লুকিয়ে বারমিস আচার খেতাম। স্যাররা পড়া ধরতে আসার আগেই ওয়াশরুমে গিয়ে ঘণ্টা কাটিয়ে আসতাম। আর ক্যাপ্টেন হয়ে যখন নাম লিখতাম তখন পুরো ক্লাস আমার শত্রু আবার কারো নামের উপর ২/৩ টা স্টার (*) লাগানো সবকিছু কত মজার ছিল।
কাউকে পানি খেতে দেখলেই পুরো ক্লাসের পানি পিপাসা লেগে যেত। হোক বৃষ্টি, হোক গরম, হোক লোডশেডিং- অমনি স্কুল ছুটির অ্যাপ্লিকেশন লেখা শুরু আর হানিফ স্যারের ঝাড়ি খেয়ে ক্লাসে ফেরা। মজার ব্যাপার হল অ্যাপ্লিকেশনটা লেখার আগে দলে পুরো ক্লাস থাকতো, লেখার সময় অর্ধেক এবং শেষ পর্যন্ত ম্যামের রুমে যেতে ২ জন অবশিষ্ট থাকতো (আমি আর নিশি), বাকিরা উধাও।
পিটি টাইমে শপথ পাঠে আরেকজনের কাঁধে হাত, জতীয় সঙ্গীতে উল্টা পাল্টা লিরিক্স লাগানো, আর মিথ্যে অসুস্থতার ভান করে পিটিতে না যাওয়া। টিফিন টাইমে কে আগে কাকির দোকানের সিঙ্গারা কিনবে সেই প্রতিযোগিতা। এছাড়া সুব্রত স্যার, ইমাম স্যার, হানিফ স্যার আর হুজুর স্যারের স্মরণীয় মাইর তো আছেই।
সবকিছুর সাথে সাথে টিচারদের অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসাও ছিল। এত এত সব স্মৃতি যা বলতে বলতে শেষ হবে না। খুব মনে পড়ে দিনগুলো।
লেখক: শিক্ষার্থী, বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি ব্যাচ - ২০১৮
সংগ্রহকারী: সাইফুল ইসলাম সায়েম, প্রতিনিধি, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস