স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ওরা চিকিৎসা মন্ত্রণালয় বানিয়ে ফেলেছে
গণস্বাস্থ্যের কিট যে খারাপ তা আমরা জেনে গেছি। সাথে জেনে গেছি এদেশে বিজ্ঞানী জন্ম হতে পারে না । এই কয়েক মাসে কয়েক বার ফেরত পাঠানো যেত কিট গণস্বাস্থ্যে। বলা যেতে আরো আপডেট করো?
এই এই সমস্যা।
তা হয়নি। বরং গণস্বাস্থ্যের কিট প্রমাণ করে দিয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কয়েকজন মাফিয়ার কাছে বন্দী। এরা যা চাইবে তাই হবে। করোনা থেকে ভয়াবহ ভাইরাস চিনিয়ে দিয়ে গেছে। সবাই চায় কিটের পরীক্ষা হোক। কিন্তু হচ্ছে না। দিনের পর দিন। কেন হচ্ছে না। কি কারণে হচ্ছে না। কেউ উত্তর জানে না। জানে শুধু অদৃশ্য শক্তি আছে।
আমরা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে শুধু চিকিৎসকদের গালাগালি করি। কিন্তু এদেশের সরকারী চিকিৎসাখাতে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয় কেনাকাটা আর অবকাঠামো তৈরিতে।
যন্ত্রপাতি কেনাতে ওদের আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু যে চালাবে সেই মানুষ নিয়োগে হাজার বাধা। হাজার কোটি টাকা নয় ছয় করছে। কিন্তু মাফিয়াদের কিছু করার নেই।
ওরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিকিৎসা মন্ত্রণালয় বানিয়ে ফেলেছে। স্বাস্থ্য মানে অসুস্থ হওয়া আর চিকিৎসা। যত অসুস্থ তত ব্যবসা।
যতদিন আমরা প্রশ্ন করতে না পারব যে কেন কি কি কারণে গণস্বাস্থ্যের কিটের পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়নি?
মুগদা হাসপাতালের চিকিৎসকে বদলি করা হয়েছিল?
এই প্রশ্নগুলো করতে হবে। লাশের সারি যত বড় হোক প্রশ্ন করতে হবে।
হয়তো বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী তো প্রশ্ন করলেন N95 মাস্কের মান নিয়ে। কই তদন্ত কমিটি তো কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করল না?
হ্যাঁ, না জানি না।
আপনি কি জানেন?
N95 মাস্কের প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে কিনা?
আমি জানি না। তবে প্রশ্ন করতে হবেই।
কারণ এই প্রশ্নের পর প্রশ্ন করার শক্তির মাঝেই আছে উত্তর কবে বাংলাদেশ করোনা মুক্ত হবে।
প্রশ্ন না করতে পারলে ওরা ঠিক করবে আমাদের গন্তব্য বার বার। প্রশ্ন করতে পারলেই আমাদের গন্তব্যে আমরা জেনে বুঝে যাব বার বার। প্রশ্ন করুন, প্রশ্ন করুন এবং প্রশ্ন করুন।
লেখা: ফেসবুক থেকে সংগৃহিত