জলোচ্ছ্বাস পরবর্তী ৭ পরামর্শ ইবি শিক্ষার্থীর
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সকলের জানা উচিত জলোচ্ছ্বাস পরবর্তী কী কী করণীয়।
১. জলোচ্ছ্বাস পরবর্তীতে বাড়ীঘর, পয়নিষ্কাশনসহ বাড়ীর আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। যেকোন মরা-পঁচা জীবজন্তু দেখা মাত্রই মাটিতে পুতে ফেলুন।
২. পঁচা ও দূষিত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবার গরম করে খাবেন। মাছি, পোকা-মাকড় কিংবা ধূলাবালি থেকে রক্ষা পেতে খাবার ঢেকে রাখুন।
৩. ডায়রিয়া হলে রোগীকে স্বাভাবিক খাবার দিন। এছাড়া ঘনঘন খাবার স্যালাইন (ওআরএস) খাবেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে অবশ্যই মায়ের দুধ খাওয়ান।
৪. জলোচ্ছ্বাসের পানিতে টিউবয়েল ডুবে থাকলে থাকলে টিউবয়েলটি আধাঘন্টা ধরে ক্রমাগত চেপে পানি ফেলে দিলে নিরাপদ পানি পাওয়া যাবে।
৫. পুকুর, নদী, খাল-বিল, কূপ অথবা কোন খোলা স্থানের পানি সংগ্রহ করে প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে থিতানোর জন্য রেখেদিন। একঘন্টা পর থিতানো পানি পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে ছেকে নিন। এরপর দশ লিটার পানিতে ৩২ ফোটাবা ২ মিলি লিটার ক্লোটেক ভালোভাবে মিশিয়ে আধাঘন্টা পরে পানি পান করুন। এ ব্যাপারে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিন।
৬. ১০ লিটার পনিতে ০২ ফোটা ক্লোটেক মিশিয়ে পান করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়না।
৭. বন্যাজনিত যেকোন রোগে (যেমনডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগ) নিকটস্থ স্বাস্থ্য কর্মী বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
লেখক: শিক্ষার্থী, জীববিজ্ঞানঅনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়