০৬ মে ২০২০, ০৯:৫৫

বলুন ৯৯% মুসলমান বিদ্যানন্দের পাশে আছে

  © ফাইল ফটো

সারাদিনের হট-টপিক, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান কিশোর কুমার দাশ। কারণ হিসেবে বলা হয়, বিদ্যানন্দ হিন্দুয়ানী নাম...। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তার ধর্ম পরিচয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কার্যক্রম, অনুদানের গতি!

পরে নেট দুনিয়ায় দেখছি, কেউ কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছড়াচ্ছে, 'উগ্র' মুসলমানদের চাপে নাকি পদ ছাড়ছেন কিশোর কুমার! যদিও কয়েকঘণ্টা পরে কিশোর বলেছেন, আমি বিদ্যানন্দ ছাড়ছি না, পরিচালনা পর্ষদেই থাকছি। ...আমার আগের বক্তব্যে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাই।

কিন্তু একদল ঘুরে ফিরে বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক বিরোধের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যানন্দ বছরের পর বছর ধরে নিঃসন্দেহে খুব ভাল কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কারও কোন প্রশ্ন নেই। আর এই করোনাকালে শুরু থেকেই তাদের কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত।

কিন্তু বিদ্যানন্দ প্রথমে যে দাবি করেছে বা ফেসবুকে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন, আপনারা কোথায় দেখেছেন বা কোথায় শুনেছেন বিদ্যানন্দের কাজের বিরুদ্ধে কেউ পোস্ট করেছে? একথা বলার পরপরই কেউ হয়তো স্ক্রিণশট দেখাবেন, বিভিন্ন লিঙ্ক দিবেন।

কিন্তু এসব আপনি কয়জনেরটা দেখাতে পারবেন? ৫০/১০০ জন। না হয় ১ হাজার জন। যেটা ১৬ কোটি মুসলমানের ১%ও না। কাজেই এসব ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ করেন। আর যিনি পদত্যাগ করেছিলেন, তিনি তার স্টাটাসের কারণে ক্ষমাও চেয়েছেন। আর বিদ্যানন্দের আয়ের কমপক্ষে ৮০-৯০ মুসলমানের অনুদানে টাকা, ৯০% ভলেন্টিয়ার মুসলমান। আপনারা কেন ১% মানুষের কথা শুনে ধর্মীয় বিদ্বেষের উস্কানি দেন? ওই ১% কি ইসলাম ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে? কিসের ভিত্তিতে ওই ১%কে আমলে নিচ্ছেন? নাকি অন্যকোন পায়তারা আছে? কারও অনুকম্পা পাওয়ার আশায় এমনটা করছেন?

বলি কি, মনটা পরিস্কার করেন, দেখবেন চোখের সামনে কোন ধর্ম নাই, সবাই মানুষ। আর তখন অপপ্রচারকারী ৫/১০ কিংবা ১০০ জনকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন। ধর্মটা আলোচনায় আসবে না।

কাজেই ১% বিদ্যানন্দের বিরোধিতা করছে না বলে, বলুন ৯৯% মুসলমান বিদ্যানন্দের পাশে আছে। সর্বোপরি বাংলাদেশ বিদ্যানন্দের পাশে আছে।