দেশ আজ দুই বিপদের সম্মুখীন
নভেল করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে অনেক দিন ধরেই লিখব ভাবছি, কিন্তু লেখা হয়ে উঠছিল না। যতটুকু জানি চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই ভাইরাসটির সন্ধান মেলে। সত্যি বলতে ঠিক তখন থেকে ভাইরাসটিকে নিয়ে অনেক ভয়ে থাকতাম, যদিও এর জন্য হাসির পাত্রও হয়েছে আমার রুমমেটসহ অনেকের কাছে। বাংলাদেশে ভাইরাসটি সনাক্তের পর থেকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিজেকে এবং পরিবারকে সর্তক রাখার চেষ্টা করছি। মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বার বার হাত ধোঁয়াসহ নানা রকম সাবধানতা অবলম্বন করছি। এইগুলো আমার কথা!
বাস্তবতা? এটাতো পুরো ভিন্ন! আজ টিভিতে দেখলাম রোগীর সংখ্যা ৬৪১ জন। বরাবরের মতই আতঙ্কিত আমি! কিন্তু, মানুষ সর্তক কতটুকু? আবার মানুষগুলোকে দোষই বা কিভাবে দিই? বলুন ক্ষুধার জ্বালা তারাই বা কীভাবে সহ্য করবে! সবার কথা কিন্তু বলছি না এক শ্রেণীর মানুষ আবার অসচেতন ও বটে।
গাজীপুরের বেতনের দাবিতে দেখলাম বিক্ষোভ হচ্ছে,গাজীপুরের প্রায় গার্মেন্টসগুলো খোলা। নারায়ণগঞ্জেরও একই অবস্থা! এভাবে চললে কি হবে বা হতে পারে তা বোধই কারোই অজানা না। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ দুইটি বিপদের সম্মুখীন। প্রথমত মহামারী করোনা। দ্বিতীয়ত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, যা আসছে সামনে।
আমার জেলা পাবনার কথা কিছু বললেই নয়। পাবনাতেই রোগী বাড়ছে সাথে সাথে বাড়ছে আতঙ্ক। আগে ভাবতাম মৃত্যু কি এতোই সহজ, কিন্তু সময়ের সাথে ধারণাটা বদলেছে। প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় কাজ করে এক চাপা আতংক। শুধু নিজের জন্য তা কিন্তু না, পরিবারের সদস্যেদের জন্য।
পরিশেষে এতটুকু বলতে চাই, ক্ষুদ্র মানুষ আমি ক্ষুদ্র জ্ঞান, হয়তো অনেক কিছু ভুলও লিখতে পারি। আসুন সবাই সচেতন হয়ে অন্যকে সচেতন করি। মানুষের পাশে দাঁড়ায়, গুজবকে না বলি। ভালোবাসি পরিবারকে, ভালোবাসি সমাজকে, ভালোবাসি প্রিয় মাতৃভূমিকে।
লেখকঃ শিক্ষার্থী, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ