মানুষ জিলাপির জন্য লাইন দিচ্ছে, অনেকে ঈদের শপিংও শুরু করেছে!
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে শুধু রাস্তায় না, বাসা-বাড়ির বাথরুমেও মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে আমেরিকায় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে আজ ৬৪১ জন শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে এক ব্যক্তি গার্মেন্টস বন্ধ দেয়ায় পিরোজপুরে গিয়েছিল তার বাড়িতে। সেখানে শরীর খারাপ করায় নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়েছিল। কিন্তু পরের দিনই কারখানা খুলে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় ফিরে আসতে হয়েছে। এর একদিন পর গতকাল পরীক্ষার রেজাল্টে জানা গিয়েছে তার করোনা হয়েছে! ততক্ষণে অবশ্য ওই ব্যক্তি গাজীপুরে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে!
সে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসছে, এরপর কাজেও যোগ দিয়েছে! এই চেইনটা বুঝতে পারছেন তো? সে কি একা একা লাফিয়ে লাফিয়ে ঢাকায় এসছে? সে কি একা থাকছে? একা কাজ করছে? এর সঙ্গে আজকের শনাক্তের সংখ্যা মিলিয়ে নিন।
তাছাড়া আপনারা কয়টা টেস্টই বা করছেন? কারখানা খুলে দিয়েছেন। হোটেল-রেস্টুরেন্টও অর্ধেক খোলা! এদিকে শুনতে পাচ্ছি মানুষজন নাকি ইফতারে জিলাপির জন্য লাইন দিচ্ছে! কেউ কেউ নাকি ঈদের শপিংও শুরু করে দিয়েছে! কোন সমস্যা নেই।
আপনাদের কাছে শুধু একটাই প্রশ্ন- এরপর যখন রাস্তা-ঘাট, অলি-গলিতে মৃত দেহ পড়ে থাকবে; সেই ভার বাংলাদেশ সহ্য করতে পারবে তো? [ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]