নিউ ইয়র্কে এতো বাংলাদেশি কেন মারা যাচ্ছে— জানেন তো?
নিউ ইয়র্কে যারা মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। আর নিউ ইয়র্কে থাকা বেশিরভাগ বাংলাদেশিরাও কিন্তু নিম্ন আয়েরই মানুষ। এই বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ধনী হতে পারে; কিংবা আপনারা হয়ত তাদের ধনী মনে করতে পারেন; কিন্তু আমেরিকার প্রেক্ষাপটে এদের বেশিরভাগই কিন্তু প্রন্তিক মানুষ।
এদের কেউ হয়ত ট্যাক্সি চালায়, কেউ হয়ত রেস্টুরেন্টে কাজ করে, কেউ হয়ত স্রেফ শ্রমিক। তো এদের মাঝে মৃত্যুর হার বেশি কেন?
প্রথম কারণ হচ্ছে এরা প্রাথমিক অবস্থায় সরকারের নির্দেশনা মানেনি। এরা মনের আনন্দে হোটেল-রেস্টুরেন্টে গিয়ে অন্য বাংলাদেশিদের সাথে আড্ডা দিয়েছে, ঘুরে বেড়িয়েছে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, এরা খুব অল্প জায়গায় অনেক মানুষ বাস করে। যার কারণে দ্রুত ছড়িয়ে গিয়েছে অনেকের মাঝে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই যে আজ দেখতে পাচ্ছি পোশাক শিল্পের কারখানাগুলো আপনারা খুলে দিয়েছেন আর এরা দলে দলে ঢাকায় আসছে। এরপর এদের মাধ্যমে পুরো দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়লে এই দায় কিন্তু আপনাদেরই নিতে হবে।
এরাও নিম্ন আয়ের মানুষ। এরাও অল্প জায়গায় অনেক মানুষ থাকে এবং এদের অনেকেই সরকারের দেয়া নির্দেশনা দিন শেষে মানবে না। পরিণতি যে নিউ ইয়র্কের মতো হবে না; এর নিশ্চয়তা কী আছে আপনাদের কাছে?
আপনাদের জানিয়ে রাখি- গবেষকরা বলছে ভাইরাসটি এই মুহূর্তে থার্ড ওয়েভে আছে। অর্থাৎ চায়না থেকে ইউরোপ হয়ে আমেরিকায়।এটি চতুর্থ এবং পঞ্চম ওয়েভে গিয়ে শেষ হবে। চতুর্থ ঢেউটি যাবে ল্যাটিন আমেরিকায় আর পঞ্চমটি আসবে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায়।
এর মাঝেই ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। যদিও তাদের সরকার সব কিছুই লুকানোর চেষ্টা করছে। এবার আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন- বাংলাদেশের এই মানুষ গুলোকে বাঁচাবেন নাকি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিবেন।
লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়