দুর্যোগ মোকাবেলায় অতীতে এদেশের মানুষ একযোগে কাজ করেছে
করোনা সংকটের কারণে আজ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা আস্তে আস্তে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন, তাদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য সাহায্য। এগিয়ে আসতে হবে, রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল, সমাজিক-পেশাজীবী সংগঠন, ব্যক্তি সবাইকে।
অতীতে দেখেছি, যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে এ দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে। তাদের সম্মিলিত উদ্যোগ বরাবরই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকেও ছাপিয়ে যায়! কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত একটু ব্যতিক্রম দেখছি। রাজনৈতিক দলের নেতাদের (বিশেষতঃ যারা বিভিন্ন পর্যায়ের জন প্রতিনিধি আছেন, ছিলেন বা হতে চান) উদ্যোগ এখনও প্রত্যাশা ও প্রয়েজনের নিরিখে অপ্রতুল।
আমাকে ক্ষমা করবেন, একথা বলে আমি সত্যিই কাউকে অসম্মান বা বিব্রত করতে চাইনি। আমার যেটা মনে হয়েছে, একটি দেশের নির্বাচনী ব্যবস্হা যখন ধ্বংস হয়ে যায়, তখন ক্ষমতায় থাকা বা, যাওয়ার ক্ষেত্রে জনগনের ভূমিকা রাখার সুযোগও সীমিত হয়ে যায়। ফলে এদেশের জনগনের আজ, আর আগের মত দাম নেই! আর যার দাম নেই, তার খোঁজ কে রাখে বলেন?
তারপরও বলবো, আসুন ভোটের জন্য নয়, মানবিকতার ডাকে সাড়া দিয়ে শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট করবার নিয়্যতে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াই। মহান রাব্বুল আল আমিন নিশ্চয়ই আমাদের ছোট-খাটো যেকোন উদ্যোগের উছিলায় এই মহামারী থেকে মুক্তি দিবেন।
লেখক: সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি