‘দেশ লকডাউন করা হোক’
১ম সমাধান হতো- আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করা। আমরা ব্যর্থ হলাম। এরপর ঠিকই প্রায় সবগুলো দেশের সাথে ফ্লাইট বন্ধ করা হলো। ততদিনে এ সমাধান-মডেল অচল!
২য় সমাধান হতো- প্রবাসীদের করোনা শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা। আমরা ব্যর্থ হলাম। এরপর ঠিকই কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে প্রবাসীদের জেল-জরিমানার বিধান করা হলো। ততদিনে এ সমাধান-মডেলও অচল!
৩য় সমাধান হতো- টেস্ট এ্যান্ড আইসোলেশন। করোনা পরীক্ষা করে আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টাইনে/ আইসোলেশনে রাখা। এ সমাধানের আর ফিজিবিলিটি নাই। আমরা এখানেও ব্যর্থ হলাম। টেস্ট কিট নিয়ে নানা টালবাহানা করা হলো। কিট যতদিনে সবার জন্য এভেইলএবল হবে, ততদিনে সংক্রমণ মহামারি রুপ ধারণ করবে।
অর্থাৎ সমাধানের এই তিনটি মডেলই এখন ব্যর্থ! তাহলে এ পরিস্থিতিতে সমাধানের সময়োপযোগী মডেল কোনটি?
এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়, একাত্তর টিভির একটি টকশোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যে- বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাধান একটাই- লকডাউন করা।
বিশ্বের অনেক দেশই লকডাউন সমাধান বেছে নিয়েছে। লকডাউনের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তই এখন শেষ 'সময়োপযোগী' সমাধান। এ মডেল অচল হওয়ার আগেই দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এ ভাষণেই যেন তিনি দেশ লকডাউন করার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেন। সেই সাথে লকডাউন পরবর্তী আর্থ-সামাজিক রুপরেখা ঘোষণা করা হোক।দেশ লকডাউন করা হোক!
লেখক: লেকচারার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়