কোন প্রস্তুতিই ছিল না, এখন যে সময়টুকু আছে সেটা কাজে লাগান

আবু হানিফ
আবু হানিফ  © ফাইল ফটো

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন প্রস্ততিই ছিল না করোনা ভাইরাস কে নিয়ে। যা ছিল পুরোটাই শুধু মিডিয়ায় ব্রিফিং। ইতোমধ্যে তার প্রমাণও দেখা যাচ্ছে মিডফোর্ড হাসপাতালে কর্মচারীদের দিতে পারছে না প্রয়োজনীয় মাক্স, তাহলে কিসের প্রস্ততির কথা আপনারা এতদিন মানুষ কে শুনাইলেন?

চীনের উহান শহর থেকে শুরু হলেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৮৫ টিরও বেশি দেশে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এখন পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ১১ হাজারের বেশি।আর আহত প্রায় ২লাখ ৮০ হাজার। পুরো বিশ্ব একটা সংকটের মধ্যে রয়েছে।

সেই অবস্থায় বাংলাদেশ যথেষ্ট সময় পেয়েছি কিন্তু কোন প্রস্তুতিই নিতে পারে নাই অথচ দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা বার বার বলে আসছে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে পুরাই ভিন্ন মানুষ পরীক্ষা করাতে পারছে না। আর এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। একদিকে করোনার ভয় অন্য দিকে দিনমজুর মানুষ গুলোর বেঁচে থাকার লড়াই। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের আবার রয়েছে কিস্তি(এনজিওর) এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে গরীব মানুষ গুলো কি হবে ভাবা যায়?

ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ কে লকডাউন করার পরামর্শ দিয়েছেন, এমন অবস্থা হলে নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো কি খেয়ে বাঁচবে?সেই খাবারের ব্যবস্থাও সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হউক। এখনো গার্মেন্টস গুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।অথচ সেখানে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম। এখানে একজন আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে ভাবা যায়? হাসপাতাল গুলোতে নেই পর্যাপ্ত ইকুয়েপমেন্ট। যারা চিকিৎসা দিবে তারা প্রতি পর্যাপ্ত নিরাপদ না থাকে তাহলে তারা কিভাবে চিকিৎসা দিবে?

তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানাই।পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের নিজেদেরকেও সচেতন হতে হবে পাশাপাশি অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে। এই জাতীয় সংকট একা সরকারের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় তাই আমাদেরও উচিত এগিয়ে আসার।

লেখক: যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।


সর্বশেষ সংবাদ