১৫ মার্চ ২০২০, ১০:৩০

শিক্ষক সুরক্ষা আইন সময়ের দাবি

  © সংগৃহীত

সমপ্রতি দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিংবা সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হতে হচ্ছে শিক্ষকদের। নারী শিক্ষকরাও এমন হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। শিক্ষকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনে পিছিয়ে নেই খোদ অভিভাবকরাও!

সরকারি বরাদ্দে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সিদ্ধান্ত ও ব্যয়িত অর্থের হিসাব-নিকাশ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষকদের মতবিরোধের জের ধরে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন সংশি­ষ্ট প্রভাবশালীরা। এছাড়া, সন্তানের পড়ালেখার উন্নয়নে গৃহীত সিদ্ধান্ত কিংবা যৌক্তিক শাসনের বিপক্ষে কড়া অবস্থান নিয়ে অভিভাবকদের কেউ কেউ বিদ্যালয়ে এসে সবার উপস্থিতিতেই লাঞ্ছিত করছেন সম্মানিত শিক্ষকদের। ইদানীং সেটা শারীরিক আঘাতেও রূপ নিয়েছে। শিক্ষকগণ নিজেদের অর্জিত সম্মান ও স্বকীয়তা অক্ষুণ রাখতে এসব পরিস্থিতিতে নীরব থেকে হজম করছেন সকল অপমান ও অত্যাচার। প্রচলিত আইনের ফাঁকফোকড় আর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পার পাচ্ছে অপরাধীরা। দেশের ভবিষ্যত্ প্রজন্ম গড়ার কারিগরদের সঙ্গে এমন ঘৃণ্য ব্যাপারগুলো রোধ করা না গেলে জাতির সার্বিক সমৃদ্ধি হোঁচট খেতে বাধ্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ও ঘটনা বন্ধ করতে প্রয়োজন ‘শিক্ষক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন। সম্মানিত শিক্ষকদের প্রতি অন্যায় আচরণ ও লাঞ্ছনাকারীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

আবু ফারুক

সহকারী শিক্ষক,

ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সদর, বান্দরবান

সূত্র: জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক