ডাকসু নেতাদের কাজে ও অকাজে সেই সোনালী ইমেজ শেষ
রাজনৈতিকভাবে স্বচ্ছতা ধরে রাখতে পারেনি শোভন। তার মাথায় চেপে বসা মুষ্ঠিমেয় সিনিয়রের (ছোট সিন্ডিকেট) ভুল গাইডেন্স ও নিজের সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ডাকসু নির্বাচনে হারতে হয়েছে ও তাদেরই প্ররোচণা এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী অপরিপক্ব কাজের কারণে নিজ দল থেকেও পদ হারাতে হয়েছে এক সময়ের সরল ও ত্যাগী শোভনকে। ছাত্রলীগের হেভিওয়েট পদে তুলনামূলক সহজ একটা ছেলের জন্য এটা ব্যাডলাক। সর্বোচ্চ পদে থেকে গ্রিপ নিজের হাতে ধরতে শেখা উচিত ছিল তার। অপরিণত আচরণই কাল হলো শেষ পর্যন্ত।
এদিকে নূরও ওই গতানুগতিক ধারার দলীয় পকেট— রাজনীতিতেই নিজেকে নিমজ্জিত করেছে। ডাকসু ভিপি পদটাকে সে নিজের রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে বারবার নির্যাতনের শিকার হয়ে সে যে সর্বদলীয় ছাত্রসমাজের অলিখিত প্রতিনিধির ইমেজ অর্জন করেছিল। যে কারণে ভূমিধস জয় পেলো নূর ডাকসুতে, ভিপি হওয়ার পর সেই অবস্থান থেকে দ্রুতই সরে যেতে শুরু করলো সে। এটা রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা ও অপরিপক্বতা। তার আচরণ যতোটা না ডাকসু নেতার, তারচেয়ে বেশি একটা গ্রুপের নেতার! ডাকসুর জন্য এটা ব্যাডলাক!
গত এক বছরে ডাকসু নেতাদের বিভিন্ন কাজে ও অকাজে ডাকসুর সেই স্বর্ণালি ইমেজও শেষ, নেতৃত্বের সেই ওজন ও সন্মানও শেষ। জাতীয় নেতা সৃষ্টির আতুরঘর সেই ডাকসুর কবর রচিত হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। ডাকসু এখন লাল কাঁকড়ার মতো জীবন্ত ফসিলেন উদাহরণ হয়ে টিকে থাকবে হয়তো আরো অনেক কাল!
লেখক: আলীম হায়দার