করোনায় ৩০ বছরের কম বয়সে মৃত্যুর হার শূন্য শতাংশ
আমি একটু আগে পলাশী বাজার গিয়ে দেখি ভয়াবহ অবস্থা। মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য দোকানদারের মাথা খারাপ করে ফেলছে লোকজন। বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীরা।
সবাইকে বলেন, মাস্ক আসলে দরকার নেই। শুধু আপনার নিজের জ্বর আর কাশি হলে (করোনার প্রথম লক্ষণ) মাস্ক পড়বেন। সেটাও অন্যরা যাতে সংক্রামিত না হয় সেজন্য।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দরকার নাই। যে কোন সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুলেই হবে। হাত ধোবেন কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড। আর মুখে কোনভাবেই হাত লাগাবেন না। শুধু এ দুটো কাজ করলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যাবে।
সাবান কি হাতে নিয়ে ঘুরবেন? দরকার হলে তা করবেন। ব্যাগে, পকেটে কোন কৌটায় সাবানের টুকরো রাখুন। ময়লা নোট বা বহুলভাবে স্পর্শ হয় (যেমন সিঁড়ির রেলিং, রিকশার হুড, বাসের হ্যান্ডেল) ধরার পর হাত সাবান দিয়ে না ধোয়া পর্যন্ত কোনভাবে মুখে হাত স্পর্শ করবেন না। চুলকালে প্রয়োজনে হাতের বাহু বা অন্য কিছু ব্যবহার করুন।
করেনোর প্রাথমিক লক্ষণ সর্দি-জ্বর বা যেকোনো ধরনের ফ্লুর মতো। প্রায় ৭দিন পর থেকে শুরু হবে শ্বাসকষ্ট। করোনার শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালের আইসিইউতে যেতে হবে কষ্ট লাঘবের জন্য। করোনার কোন চিকিৎসা নেই। ৯৮ শতাংশ রোগী এমনিতে ভালো হয়ে যান।
করোনা নিয়ে তরুণরা বেশী টেনশন করবেন না। ইতিমধ্যে শ্বাসকষ্ট ধরনের রোগ না থাকলে ৩০ বছরের নিচেদের করোনা হলে মৃত্যুর হার প্রায় শূন্য শতাংশ। কিন্তু আক্রান্ত হলে ভোগান্তি ও ভীতি বাড়ে এবং অন্যরা সংক্রামিত হতে পারে। তাই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কোনভাবে নিবেন না।
এদেশে সরকার কি করে বা কি করতে পারে আপনারা সবাই জানেন। কাজেই নিজের ভালো নিজে বুঝে নিন। নিজে বাঁচুন অন্যকে বাচাতে সাহায্য করুন। সতর্ক হোন, আতংকিত নয়।
লেখক: ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক ও কলামিস্ট