ভারত নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ফারুক হাসান
সম্প্রতি ভারতে চলমান নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলা বিক্ষোভের ঘটনায় এবং মুজিববর্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান।
গতকাল শুক্রবার দেয়া নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফারুক দাবি করেছেন, ভারত দেশে একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চাচ্ছে। নিচে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য ফারুক হাসানের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
‘‘ভারত চায় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগুক। বাংলাদেশের মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িঘর এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে আগুন লাগাক। সেজন্য ভারত প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে বাংলাদেশের মুসলমানরা তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে ভিন্নধর্মী মানুষদের উপর আক্রমণ করে। আর এই কাজটি করতে পারলেই ভারতে বিজেপি সরকার যে গণহত্যা চালাচ্ছে সেটির বৈধতা পেয়ে যাবে।
সাবধান ভারতের পাতানো ফাঁদে কেউ পা দিবেন না, তাহলে আমাদের মাঝে যে ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছে সেটি ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। অপরদিকে ভারত তার দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেবে। ভারতের বিজেপি সরকারের থেকেও ভয়ঙ্কর হলো এদেশীয় ভারতীয় দালালেরা, এরা বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য নানা ভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এদের লক্ষ্যই হলো ভারতীয় সরকারের পরিকল্পনা যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করা।
আমার গভীর আশংকা হয়, যদি বাংলাদেশে তারা এরকম একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে তখন তারা (ভারত) বলে বসবে যেহেতু বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রমণের শিকার হচ্ছে তারা সেখানে ভালো নেই তাই বাংলাদেশে বসবাসরত ২ কোটি হিন্দুকে আমরা (ভারত) নিয়ে নিবো এবং ভারতে বসবাসরত প্রায় ২০ কোটি মুসলমানদের তোমরা বাংলাদেশ নিয়ে নাও। আর ভারত যদি এই প্রস্তাব করে, অমান্য করার সাধ্য আছে কি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের?
তাই দেশের সকলের প্রতি আমার আহবান থাকবে, ভিন্নধর্মী সকল ভাইবোনদের বাসা বাড়ি এবং তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে পাহারা বসান যাতে কোন ষড়যন্ত্রকারী আমার হিন্দু ভাইবোনদেরকে কোনভাবেই আঘাত করতে না পারে।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর সমগ্র দেশের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান থাকবে আপনারা এ বিষয়ে সজাগ এবং সাবধান থাকবেন, প্রয়োজনে মন্দিরে মন্দিরে পাহারা বসাবেন যাতে কেউ ষড়যন্ত্র করে হিন্দু ভাইবোনদের আঘাত করতে না পারে।
বাংলাদেশ হলো সম্প্রীতির দেশ, এখানে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে সমান মর্যাদা নিয়ে বসবাস করে। আমাদের এই সম্প্রীতির বন্ধন কেউ যাতে নষ্ট না করতে পারে’’।
লেখক: যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।