১১ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:০২

সক্রেটিসের প্রহসনের বিচার ও আমাদের বিচার ব্যবস্থা

মো. আবু রায়হান  © টিডিসি ফটো

জ্ঞানীর পিতা বলা হয় দার্শনিক সক্রেটিসকে। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি আলোচিত, নন্দিত, যুক্তি ও মুক্ত বুদ্ধিচর্চার জনক হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে সক্রেটিসই পৃথিবীর প্রথম দার্শনিক ও চিন্তাবিদ যাকে তার চিন্তা, দর্শনের জন্য মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল।সক্রেটিস খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সালে গ্রিসের এথেন্সে নগরীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।এই মহান দার্শনিকের সম্পর্কে তথ্য লিখিতভাবে পাওয়া যায় কেবল মাত্র তার শিষ্য প্লেটোর ডায়ালগ এবং সৈনিক জেনোফন এর রচনা থেকে।

সক্রেটিস তার দর্শন ও কিছু অমীয় বাণীর জন্য কয়েক শত বছর ধরে আলোচিত হয়ে আসছেন। Know thyself (নিজেকে জানো),যাই হোক বিয়ে কর। তোমার স্ত্রী ভাল হলে তুমি হবে সুখী, আর খারাপ হলে হবে দার্শনিক।পোষাক হলো বাইরের আবরণ, মানুষের আসল সৌন্দর্য হচ্ছে তার জ্ঞান ইত্যাদি কথা বলে তিনি মানুষের হৃদয়ে বরণীয় হয়ে আছেন। চিন্তাবীদরা বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, সক্রেটিস এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছিলেন, যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমা সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রভাবিত ও সমৃদ্ধ করেছে এবং এখনো করছে।

কিন্তু দুর্ভাগ্য প্রাচীন গ্রিসের শাসকেরা সক্রেটিসের তত্ত্বগুলো মানতে চাননি।কিন্তু মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার নশ্বর দেহের অন্তর্ধান হলেও চিন্তার জগতে তিনি অবিনশ্বর ও আলোচিত দিকপাল। সক্রেটিসের শিষ্য প্লেটো, প্লেটোর শিষ্য অ্যারিস্টটলের মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে চিন্তার এক নতুন জগৎ সৃষ্টি হয়েছে। যা মানুষকে দিয়েছে নতুনত্ব, দর্শন ও চিন্তার আলাদা জগৎ।সেই সময় এথেন্স সরকার সক্রেটিসের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ দাঁড় করিয়েছিল।

তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল তিনটি -
ক. দেশের প্রচলিত দেব -দেবীদের প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শন।
খ. নতুন নতুন দেব -দেবী প্রবর্তন করার চেষ্টা। এবং
গ. সক্রেটিস যুবকদের নৈতিক চরিত্র কলুষিত করে তাদের বিপথে পরিচালিত করছেন।

এছাড়া প্লেটোর অ্যাপোলজি গ্রন্থের ভাষ্যমতে, সক্রেটিসের বন্ধু চেরিফোন একদিন ডেলফির ওরাকলের কাছে গিয়ে প্রশ্নে করে যে, সক্রেটিসের চেয়ে প্রাজ্ঞ কেউ আছে কি-না? উত্তরে ওরাকল জানায় সক্রেটিসের চেয়ে প্রাজ্ঞ কেউ নেই। এর পর থেকেই সক্রেটিসকে সমাজের চোখে একজন রাষ্ট্রীয় অপরাধী ও সরকারের জন্য বিষফোঁড় হিসেবে দেখা হতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আরো দুটি কারণ ছিল স্পার্টার সঙ্গে ২৭ বছরের যুদ্ধে এথেন্সের পরাজয়ের ফলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরাট আঘাত আসে। অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। সেকালের ধর্মবিশ্বাসী মানুষরা মনে করল নিশ্চয়ই দেবতাদের অভিশাপেই এই পরাজয় আর এর জন্য দায়ী সক্রেটিসের ঈশ্বর বিদ্বেষী শিক্ষা।

সেই সময় সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন মেলেতুল, লাইকন, আনাতুস নামে এথেন্সের তিনজন সমভ্রান্ত নাগরিক। প্রথম জন ছিলেন মধ্যম শ্রেণীর কবি, দ্বিতীয় জন ছিলেন বক্তা এবং তৃতীয় জন ছিলেন গণতান্ত্রিক নেতা।উপরিউক্ত অভিযোগে সক্রেটিসের বিচার করার জন্য এথেন্সে আলোচোনের সভাপতিত্বে ৫০০ সদস্যের বিচারকমণ্ডলী গঠিত হলো।৫০০ জন জুরির সামনে বিচার।এই বিচারকমণ্ডলীর সামনে সক্রেটিস এক দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাঁর বিরোধীপক্ষ কী বলেছিল তা জানা যায়নি। তবে সক্রেটিসের জবানবন্দি লিখে রেখে গিয়েছিলেন তাঁর শিষ্য প্লেটো। এক আশ্চর্য সুন্দর বর্ণনায়, বক্তব্যের গভীরতায় এই রচনা বিশ্ব সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে সমাদৃত।

প্রথমেই সক্রেটিসের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়নি। বিচারের শেষ মুহূর্তে শাস্তি এড়াতে না পারলেও মৃত্যুদণ্ডকে এড়াতে পারতেন সক্রেটিস। তখন এথেন্সের বিচার ব্যবস্থায় অপরাধ চিহ্নিত হবার পর অপরাধীকে জিজ্ঞেস করা হতো, সে কী শাস্তি চায়। ৫০০ বিচারকের উপস্থিতিতে সক্রেটিসকেও জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি কী শাস্তি চান। কিন্তু যেহেতু তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করতেন না তার আচরণ ছিলো স্বভাবসুলভ অনমনীয়। তিনি শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কারের প্রস্তাব করেন! উদ্বেগহীন সক্রেটিস প্রস্তাব করলেন যেন, প্রাইটেনিয়াম হলে (একটি পাবলিক হল) তাকে নিয়ে বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়, প্রথাগতভাবে যা করা হতো গ্রীসের বীরদের জন্য। তাতে বিচারকরা বাক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন, তাঁরা মনে করলেন, সক্রেটিস এই বিচারকে প্রহসন মনে করছে এবং তাঁদের উপস্থিতির সম্মান দিচ্ছে না। ফলে উচ্চারিত হল, মৃত্যুদণ্ড।

প্রথমে তাঁর বিরুদ্ধে জুরি ছিলেন ২৮০ জন এবং স্বপক্ষে ছিলেন ২২০ জন। তাঁর ঐ উত্তর শুনে বিরুদ্ধে গেল ৩৩০ জন।৬০ ভোটের ব্যবধানে সক্রেটিস অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত হয়েছিলেন।তাঁকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হলো। সেই ভয়ঙ্কর রায় শুনে এতটুকু বিচলিত হলেন না সক্রেটিস। স্থির শান্তভাবে বললেন, I to die, and you to live. Which is better God only knows.অর্থাৎ এখন সময় হয়েছে আমাদের সকলকে চলে যাওয়ার, তবে আমি যাব মৃত্যুর দিকে, তোমরা যাবে জীবনের দিকে। জীবন কিংবা মৃত্যু-একমাত্র ঈশ্বরই বলতে পারেন এর মাঝে শ্রেষ্ঠ কে? তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় হেমলক বিষপানের মাধম্যে!

প্লেটোর ফিডো গ্রন্থের শেষে সক্রেটিসের মৃত্যুর পর্বের বর্ণনা উদ্ধৃত আছে। মৃত্যুর পূর্বে তার বলা শেষ বাক্য ছিল তার বন্ধু ক্রিটোকে লক্ষ্য করে, 'ক্রিটো, অ্যাসক্লেপিয়াস আমাদের কাছে একটি মোরগ পায়, তার ঋণ পরিশোধ করতে ভুলো না যেন। এখানে অ্যাসক্লেপিয়াস হচ্ছে গ্রিকদের আরোগ্য লাভের দেবতা। সক্রেটিসের শেষ কথা থেকে বোঝা যায়, তিনি বুঝাতে চেয়েছিলেন মৃত্যু হল আরোগ্য এবং দেহ থেকে আত্মার মুক্তি।সক্রেটিসের মৃত্যুর পরেই এথেন্সের মানুষ ক্ষোভে দুঃখে ফেটে পড়ল। চারদিকে ধিক্কার ধ্বনি উঠল। বিচারকদের দল সর্বত্র একঘরে হয়ে পড়ল। অনেকে অনুশোচনায় আত্মহত্যা করলেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে মেনেতুসকে পিটিয়ে মারা হলো, অন্যদেশ থেকে বিতাড়িত করা হলো। দেশের লোকেরা সক্রেটিসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিরাট মূর্তি তৈরি করেছিল।

সাম্প্রতিককালে এথেন্সের ওনাসিস ফাউন্ডেশনের একটি আদালতে ফের নতুন করে বিচার ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল। যেই আদালতে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ড প্রদানের দুই হাজার ৪১৫ বছর পর এ রায় দেয় এথেন্সের আদালত।মৃত্যুদণ্ডের সুদীর্ঘ দুই হাজার ৪১৫ বছর পর বিশ্ববাসী এ রায় পেল যে রায়ে দার্শনিক সক্রেটিস নিরপরাধ, নির্দোষ। তিনি তরুণদের বিভ্রান্ত করেননি। ধর্মবিশ্বাসের অপব্যাখ্যাও তিনি করেননি। চৌর্যবৃত্তির প্রশ্রয়দাতাও সক্রেটিস ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ছিল মিথ্যে এবং সাজানো। তিনি সত্যিই দোষী ছিলেন কি না, সেই সিদ্ধান্তে উপনীত হবার জন্য সেই বিচারেই সক্রেটিসকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে রায় দেয় আদালত।

সক্রেটিসের সমর্থনে তাঁর আইনজীবী বলেন, কোনও ব্যক্তির অভিমত অপরাধ হতে পারে না। সক্রেটিস সত্যের সন্ধান করতেন। আর তা করতে গিয়েই তিনি তাঁর নিজস্ব মত তুলে ধরতেন। আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল সক্রেটিসের একটি ত্রুটি অবশ্য ছিল, আর তা হলো, তিনি উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়ে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলতেন। সবসময় বাঁকা বাঁকা কথা বলতেন। যেমন তিনি বলতেন, দেখাও তোমাদের গণতন্ত্র কতটুকু খাঁটি ও বিশ্বাসযোগ্য। মৃত্যুদন্ডের আগে পালাবার সুযোগ পেয়েছিলেন সক্রেটিস। কিন্তু এথেন্স ছেড়ে কোথাও যাননি তিনি। এমনকি শাসকদের ভয়েও ভীত ছিলেন না সক্রেটিস।এই আদালতে আইনজীবী আরও বলেন যে, সাধারণ মামলাকে জটিল করবার জন্য মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেয়াটা কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। নিউইয়র্কের একটি আদালতেও সক্রেটিস নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন। সক্রেটিসের হয়ে এই মামলায় ফ্রান্সের এই বিখ্যাত আইনজীবী সওয়াল করেন। উল্টোদিকে গ্রিস-সহ বেশ কয়েকটি দেশের আইনজীবীরা সক্রেটিসের বিরোধিতা করেন। এই মামলার বিচারের জন্য আমেরিকা ও ইউরোপীয় বিচারকদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘ বাদানুবাদের পরে সক্রেটিসের আইনজীবীর যুক্তিতেই সিলমোহর দেন বিচারকরা।

সক্রেটিসের প্রহসনের বিচারে মৃত্যুদন্ডের এতো শত বছর পর মরণোত্তর বিচারে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলেন। এটা মনে রাখা দরকার আদালতের বিচারে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হলেই তিনি যে আসলেই দোষী বা অপরাধী তা কিন্তু প্রমাণিত হয় না। অর্থাৎ মানুষের আদালতে বিচার ভুল হতেই পারে। সাক্ষী, আইনজীবী সবাই ভুল করতে পারেন। এমনকি বিচার যারা করেন তাঁরাও নানান প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার কারণে ভুল করতে পারেন। এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব, চাপ প্রয়োগ বা বিচারকার্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের রাগ-অনুরাগবশতও নিরপরাধ ব্যক্তি অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন।

সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে ৩৩টি মামলা হয়েছিল।মামলার আসল অভিযুক্তের নাম ছিল আবু সালেক। সেই মামলাযর চার্জশীটও হয়েছিল আবু সালেককে আসামী করে।কিন্তু আবু সালেক দেখিয়ে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো তার নাম আসলে জাহালম, পেশায় একজন পাটকল শ্রমিক।এরপর জাহালম তিন বছর ধরে আবু সালেকের অপরাধ আর দুদক ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভুলের শিকার হয়ে কারাগারে ছিলেন।

এদিকে ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার মামলায় আলোচিত চরিত্রের নাম জজ মিয়া। জজ মিয়া নামের একজন নিরপরাধ মানুষকে দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করানো হয়। এ মামলার তদন্তে জজ মিয়া বলেছিলেন, সিআইডি কর্মকর্তারা তাকে বলেছিল, 'তুই নিজে বাঁচ, পরিবারকে বাঁচা, আমাদেরও বাঁচা। এভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে একজন নিরপরাধ মানুষকে ফেঁসে দেওয়া হয়। আবার প্রকৃত অপরাধী আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে নিরপরাধ হিসেবে বেঁচে যেতে পারেন। এমন ঘটনা আজকাল যেমন ঘটছে, তেমন অতীতেও ঘটেছে।

কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষক হিসেবে মজনু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তার চেহারা ও সামর্থ্য দেখে অনেকে সন্দিহান। অনেকে বলার চেষ্টা করছেন এটা আবার জজ মিয়া নাটকের নতুন সংস্করণ কি না?দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, অপরাধী পার পাবার ঘটনা ও অতীতে নিরপরাধ মানুষের সাজা ভোগের কারণে জনমনে এমন ধারণা বদ্ধমূল হচ্ছে।এদিকে ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, দুদিনেই ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক গ্রেফতার, ৪ বছরেও তনুর ধর্ষক অধরা কেন?

অতীতের চেয়ে বর্তমানে বিচারের নামে প্রহসন বেশি ঘটছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। আবার রাজনৈতিক প্রভাবে অনেক নির্দোষ নিরপরাধকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামিনযোগ্য মামলায় জামিন পাবার কথা থাকলেও নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে তাঁর আইনজীবীদের ধারণা।অনেক দাগী অপরাধী এমনকি নিষ্ঠুর হন্তারককেও খালাসের ঘটনা ঘটছে।

এমন মর্মান্তিক ঘটনা যেমন ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটতে পারে, তেমনি ঘটতে পারে সংশ্লিষ্ট বিচারকের অজ্ঞাতেও।বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কথা বলা হয়েছে। ১৯৯৪ সালে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার রিট মামলা করা হয়।সেই মামলার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে চূড়ান্ত রায় হয়েছিল ১৯৯৯ সালে।রায়ের আট বছর পর ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মামলায় যে ১২ দফা নির্দেশনা এসেছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা ছিল যে, বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে আলাদা করতে হবে সেটি করা হয়।তবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে বাকি যে নির্দেশনাগুলো ছিল, সেগুলোতে সন্তোষজনক অগ্রগতি এখনো হাসিল হয়নি।

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক