বাটপার একটা শ্রেণী আছে, যারা ড্রইংরুম পলিটিক্স করে
ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বিভিন্ন দুর্দশার কথা জানিয়েছেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তিনি বলেছেন, ২০০৮ সালের পরে আসলে সাবেক ছাত্রনেতার সংজ্ঞাটিও বদলে গিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের সাথে প্রতিযোগিতায় সাবেক ছাত্র নেতারা পেরে উঠছেন না বলে অভিযোগ তাঁর। অচেনা অনেকে সাবেক ছাত্রনেতার কোটা চায় বলেও দাবি করেন।
এসব নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ওই সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ইস্ত্রি করা চকচকে কাপড় পরে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় বর্তমান পলিটিশিয়ানদের সাথে তাল মিলিয়ে; সচিব-ডিজিদের স্যার ডাকতে পারে না কেউ কেউ; কাজ করার আগেই পার্সেন্টেইজ দিতে পারে না অনেকেই; বাসায় গিয়ে বউয়ের লগে গল্প করে। আজকেও গণভবনে নেত্রীর সাথে দেখা করে আসলাম। অথচ পাস যে ব্যক্তি দেয় সে কিন্তু ফোনও ধরেনি।
কোনভাবে টিভিতে নিজের চেহারাটা দেখানোর যুদ্ধে নব্যদের সাথে ধস্তা ধস্তিতে পেরে উঠে না অনেকেই। সর্বস্ব বিক্রি করে হলেও ভালো থাকার অভিনয় করতে হয়। অনুপ্রবেশকারীদের সাথে বড় নেতাদের উপঢৌকন দেওয়ার প্রতিযোগিতায় না পেরে উঠার কারণে কোন মন্ত্রীর বা নেতার আস্থাভাজন হয়ে উঠতে পারে না। বর্তমানদের ব্যাপারেও নিজস্ব মতামত দিতে পারে না, যদি কেউ মাইন্ড করে।
উপরের মানুষগুলোর নাম সাবেক ছাত্রনেতা!
তবে বাটপার একটা শ্রেণী আছে যারা শুধু ড্রইংরুম পলিটিক্স করে মিথ্যা ইতিহাসের আশ্রয় নিয়ে বাগিয়ে নিয়েছে অনেক কিছু। ২০০৮ সালের পরে আসলে সাবেক ছাত্রনেতার সংজ্ঞাটিও বদলে দিয়েছে। অনেকে কোথাকার কোন ‘বালেশ্বর’ সেও সাবেক ছাত্রনেতার কোটা চায়।
কথায় আছে সময়ের অদৃষ্ট কাল বিলাই চাটে বাঘের গাল।”