প্রিয় রাব্বানী ভাই, ফ্রিতে কিছু উপদেশ দিলাম
প্রিয় গোলাম রাব্বানী ভাইয়া, আপনাকে ক্যাম্পাসে প্রথম বছর থেকেই চিনি। এবং আপনি অত্যন্ত পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ ছিলেন সেটাও সত্য। আপনি সাধারণ সম্পাদক হবার পর অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলাম যে একজন সত্যিকারের তৃণমূল-কর্মী উপর পর্যন্ত পৌছেছে। তারপরে তো আর কোনদিন দেখা সাক্ষাত হয়নি।
আপনার কি একবারও মনে হয় না যে আপনাদের কারনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদ দুটির (আপনার সভাপতি সহ) চরম ও বিশ্রীরকমের অসম্মান হয়েছে? কেউ কি কোন দিন আর ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের যে কোন সম্মান আছে, একটা ওজন আছে, সেটা বুঝবে?
কয়েকদিন কাদঁলেন বড় নেতাদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার, কি ষড়যন্ত্র, কারা করেছে সাহস করে নাম বলেন না। কয়েকদিন কাঁদলেন পদ ফিরে পাবার জন্য পেলেন না। তারপর ডাকসুতে গেলেন।আপনার এখন পজিশন ডাকসুর জিএস হিসাবে, খুবই বড় ব্যাপার। যতদূর জানি সেখানে কাজ কম না। একমাস পরে গেছেন কি কাজ দেখেন। যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন মনে হয় ছাত্রদলের কোন বড় নেতাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিল। আমি তাতে অবশ্য অসুবিধা দেখি নাই। অনেকেই দেখেছিল কিন্তু।
আমি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়েছি। গণসংযোগ বা পিআর একটা ব্যাপার আছে। নির্বাচনে নেগেটিভ কভারেজ অনেক কাজ দেয় এটা সত্য। তবে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে ঘটনা শান্ত হতে দিতে সময় দেয়া দরকার। তারপর মানুষ ভুলে গেলে আবার ফিরে আসা উচিৎ, মানুষ ভুলে যাবেই। আপনি যেমন সবাইকে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড না কেন বলে ধমকে যাচ্ছেন, আমিও ফ্রিতে কিছু উপদেশ দিলাম। কারন আপনার মতো ভ্যানগার্ড আপার লাগলে বহিষ্কার করত না, আর তাছাড়া উনার এসএসএফ সিকিউরিটি আছে।
ভাই রাজনীতি তো একদিনের না, আপনার চেয়ে ভাল কেউ জানে না। তবে আপনার কাছে হাত জড়ো করে বলি, আমি আর আনফলো করে পারতেছি না আপনার ফলোয়ারদের, যারা সারাদিন আপনার পোস্ট কপি শেয়ার করে। একটু ক্ষমা করেন। কয়েকদিন পাবলিসিটি দিয়া দূরে থাকেন।আর কোন আবেগী মেলোড্রামাটিক কথা বলতে আইসেন না। পিআর স্ট্যান্ড পয়েন্ট থেকে এখন আপনার সাথে যাবে না। পরে বলেন।
কারেকশন: বহিষ্কার হবে না আকস্মিক ভাবে পদত্যাগ করার জন্য বলা। (সংগৃহীত)
লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়